জাবির বাসে জুনিয়রকে পেটালেন সিনিয়ররা

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২; সময়: ৪:১৯ অপরাহ্ণ |
জাবির বাসে জুনিয়রকে পেটালেন সিনিয়ররা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের বাসে এক জুনিয়র ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. সংগ্রাম ইসলাম। তিনি গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৮ তম ব্যাচ) ও আ.ফ.ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট বাসে করে ক্যাম্পাস থেকে বঙ্গবাজারে যাওয়ার পথে টেকনিক্যাল মোড়ে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরদিন শুক্রবার ঘটনার বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সংগ্রাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার বাসে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। টেকনিক্যাল মোড়ের কাছাকাছি বাস আচমকা ব্রেক করলে আমি ভারসাম্য হারিয়ে কাঁধে ও বুকে আঘাত পাই।

পরে এভাবে ব্রেক কেন করলেন, ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলে এক সিনিয়র শিক্ষার্থী উগ্রভাবে বলেন ‘হাত ছিল না তোর’। আমি তাকে বলি, দুপুরে খাওয়া হয়নি, আর দুটো ব্যাগের জন্য ব্যালেন্স রাখতে পারিনি।

‘তখন আমার কথা শেষ না হতেই ওই সিনিয়র ভাই আমাকে ব্যাচ কত, জিজ্ঞেস করেন। এ সময় তার সঙ্গে আরো দুই-তিনজন এসে যুক্ত হন।’

অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘পরিচয় ও ব্যাচ জানার পর সিনিয়র শিক্ষার্থীরা আমাকে গালি দিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে বাস থামিয়ে আমাকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেয়া হয়।

এ সময় আমার মাথায় জোরে জোরে ঘুষি ও থাপ্পড় মারা শুরু করেন তারা। পরে স্ট্যাম্প দিয়ে আমার আমার পায়ে পেটানো হয়, এতে স্ট্যাম্পটি ভেঙে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এভাবে সিনিয়র দ্বারা মারধর ও হেনস্তার জন্য হতাশা প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের এখনো পুরোপুরি শনাক্ত করা যায়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এ ধরণের ঘটনার জন্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ফেসবুক গ্রুপে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এ ধরণের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতি নষ্ট করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ পেয়েছি।

যেহেতু হামলাকারীদের ওই শিক্ষার্থী চিনতে পারেননি এ জন্য তদন্ত করতে একটু সময় লাগছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য যা যা করার প্রয়োজন আমরা সবটুকু করবো।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে