ফুলে ফুলে হাসছে পাবিপ্রবি

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২; সময়: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ |
ফুলে ফুলে হাসছে পাবিপ্রবি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রকৃতিতে থেকে এখনো গরমের রুক্ষতা কাটেনি, প্রচণ্ড দাবদাহে এখনো অস্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে মানুষ। তবে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিতে একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে মানুষ। এই বৃষ্টিতে প্রকৃতি ধীরে ধীরে সতেজ হতে শুরু করেছে।

আর এই সতেজতার হাওয়া লেগেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগানগুলোতেও। বৃষ্টির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগানগুলো গরমের প্রখরতা কাটিয়ে ফিরতে শুরু করেছে তার আপন চেহারায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগানগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি রঙের ফুল। আর ফুলে ফুলে হাসতে শুরু করেছে পুরো পাবিপ্রবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ফেরিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা বাগানটিতে ফুটেছে টগর, অপারাজিতা আর গাঁদা ফুল। এই বাগানেই কয়েক রঙের নয়নতারা আর গোলাপের দেখা মিলছে।

প্রশাসনিক ভবন ফেরিয়ে স্বাধীনতা চত্বরের দুই পাশেই ভরে উঠেছে জবা ফুল। স্বাধীনতা চত্বরের দুই পাশে জবা ফুলের দেখা সারা বছরই মেলে। তবে এই বাগানে বৃষ্টির পানি একটু ভিন্ন আবহ সৃষ্টি করেছে।

শহীদ মিনারের সামনের জারুল গাছটি যেমন ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে তেমনি পাশে থাকা চন্দ্রপ্রভা আর কুরচি গাছটার ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পুরো শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে। শহীদ মিনারের পেছনের বাগানের পুরাটাই ফুলে ফুলে ভরে আছে।

এখানে সন্ধ্যামালতী আর হলদে কসমসের একাধিক আধিপত্য তবে পাশে ফুটে থাকা বেলি আর নানান রঙের নয়নতারা দৃষ্টি আকর্ষণ করছে দর্শনার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের দক্ষিণ পাশ থেকে উত্তর পাশ পর্যন্ত পুরো এলাকাটা ভরে আছে বাহারি ফুলে। এখানে রঙ্গনের ছোট গাছগুলোতে আসা ফুলগুলো ভিন্ন এক পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে পাশাপাশি থাকা মধুমঞ্জুরি তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে কাছে নিয়ে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।

লেকের পাশ ঘেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’এর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে দেখা মিলবে রাঁধাচূড়া গাছের। হলদে লাল রঙের ফুলের ছায়া লেকের পানির সঙ্গে যেন এক মধুর মিতালী তৈরি করেছে।

রাঁধাচূড়া গাছ ফেরিয়ে গেলে দেখা মিলে চেরি ফুলের গাছ। লেকের ওপারে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, লেকের পানি আর গোলাপী রঙের ফুল ক্যামেরার ফ্রেমে যেন ভিন্ন এক পাবিপ্রবিকে উপস্থাপন করে।

তবে লেকের পাশে ভিন্ন এক আবহ তৈরি করেছে ল্যান্টানার কয়েকজাতের ফুল। লাল, গোলাপি, সাদা রঙের ফুলের সংমিশ্রণ ল্যান্টানার বাগানে এক বৈচিত্র্যতা এনে দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ দুপাশের বাগানেই গাঁড় লাল, গোলাপী, সাদা রঙের নানান জাতের গোলাপ ফুটে আছে। লেকের পাড় দিয়ে ‘জনক জ্যোতির্ময়’ দেখতে গেলে এই গোলাপের বাগান দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। এর সামনে এগিয়ে গেলে দেখা মেলে গাঁদা ফুলের বাগানের।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সরকারি চাকরিজীবি আবদুল হাকিম বলেন, অন্যরকম এক ভালোলাগা করছে এখানে এসে। বিশ্ববিদ্যালয় আগের চেয়ে সুন্দর অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ফুলে ফুলে ভরে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এই রূপ দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ।

আরেক দর্শনার্থী মাহবুবা আনোয়ার বলেন, এই ক্যাম্পাস আগেও এসেছি। কিন্তু ক্যাম্পাসের এই সৌন্দর্য আগে দেখিনি। ক্যাম্পাসে নতুন নতুন স্থাপনা হয়েছে। স্থাপনাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফুলের বাগান গড়ে তুলেছেন। বাগানের ফুলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে