রাজশাহীতে সেশনজট কমাতে নাসিং শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২; সময়: ১১:২৬ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে সেশনজট কমাতে নাসিং শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেশনজট কমানোর উদ্যোগ নিতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে উদ্যোগ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

সেশনজট কমানোর দাবিতে বুধবার রাজশাহী নার্সিং কলেজের ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ সেশনের চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, জয়নাল আবেদীন, পারভেজ মোশাররফ, নাজমুল হোদা, আসিফ কামাল, মাসুম রেজা, সাখাওয়াত হোসেন, মেহেদী হাসান প্রমুখ। পরে তাঁরা কলেজ অধ্যক্ষ ফয়েজুর রহমানের মাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে (ভিসি) একটি লিখিত আবেদন দেন। সেখানেই ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, তাঁরা শিক্ষা কার্যক্রমে প্রায় দেড় বছর এগিয়ে গেছেন।

অন্যদিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত রাজশাহী নার্সিং কলেজসহ সরকারি বেসরকারি নার্সিং কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়েছেন।

উপাচার্যের কাছে পাঠানো ওই আবেদনে শিক্ষার্থীরা লেখেন, তাঁরা বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী নার্সিং কলেজে ভর্তি হন। একই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, তাঁরা শিক্ষা কার্যক্রমে প্রায় দেড় বছর এগিয়ে গেছেন।

অন্যদিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত রাজশাহী নার্সিং কলেজসহ সরকারি–বেসরকারি নার্সিং কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়েছেন।

সেশনজট নিরসনে কলেজ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বছরে কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করে এবং যুগোপযোগী ও শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো সেশনজট নিরসনে কোনো উল্লেখযোগ্য ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন কোনোটাই করতে সক্ষম হয়নি।

ওই আবেদনে শিক্ষার্থীরা আরও লেখেন, পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এখন সেশনজটের ক্ষতির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়। করোনার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত কোর্সের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে।

অথচ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অনুষদ কোনো প্রকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এ কারণে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, আগামী ৩ দিন তাঁরা বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এ সময়ের মধ্যে সেশনজট নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া না হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন। এ ছাড়া এখন আর তাঁদের কোনো উপায় নেই।

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে সেশনজট দেখা দিয়েছে। আগের ভিসি অসুস্থ থাকার কারণে উদ্যোগ নিতে পারেননি। এখন সমাধান তো একমুহূর্তেই হবে না।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে