১৪০ ঘন্টা ধরে অনশনে : খেয়াল নেই কারো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২; সময়: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ |
১৪০ ঘন্টা ধরে অনশনে : খেয়াল নেই কারো

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাবিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক কর্তৃক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে কর্মসূচিটি পালিত হয়।

রাকসু আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী মামুন হায়দার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ছাত্রদের ওপর হামলার একাধিক নজির দেখেছি। আমরা ২০০৪ সালে দেখেছি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলার।

২০০৩ সালে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনেও হামলা হতে দেখেছি। সেই একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটেছে সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পালিত সাধারণ আন্দোলনে হামলা দেশের ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।

তিনি আরও বলেন, ১৪০ ঘন্টা ধরে ৩০ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে অথচ সেদিকে কারো খেয়াল নেই। তাঁরা খুঁজছে ষড়যন্ত্র। আন্দোলনের নেপথ্যে কারা এসব। সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। অনশনে অবস্থানরত একজন শিক্ষার্থীর খারাপ কিছু হয়ে গেলে ছাত্র আন্দোলন আরো ভয়ংকর হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আল মামুন। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, মনে রাখবেন ২০০৭ সালের ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে সরকার পতনের কারণ হয়েছিল।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ভাইস চ্যান্সেলর তন্ত্র চলেছে। এখানে একজন ভিসির পদত্যাগের দাবি করলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও পদত্যাগ করবে বলে একাত্ব প্রকাশ করে। মনে রাখবেন দেশের সকল শিক্ষার্থীরা একাত্ব প্রকাশ করলে টিকতে পারবেন?

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সালেহ হাসান নকিব কর্মসূচির সাথে একাত্ব প্রকাশ করে বলেন আমি নৈতিক অবস্থান থেকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। আমি সেটা করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হয় না। শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি খুবই সাধারণ ও ছোট ছিল। যা গুরুত্বের সাথে না দেখে তা দমনে উদ্যোগ নেওয়া হয় যা বর্তমানে ভিসি পদত্যাগ আন্দোলনে রুপ নিয়েছে।

তিনি জানান, অন্যায় করে এখন পার পেয়ে গেলে দেশের সকল ক্ষেত্রে অন্যায় বেড়ে যাবে যাবে। আস্থা হারিয়ে যাবে । তাই যতো দ্রুত সম্ভব এর একটি ফয়সালা দরকার।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সৌভিক রেজা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা ও শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য গত ১৬ জানুয়ারি শাবিপ্রবি উপাচার্য এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর পুলিশি আক্রমণ হয়, যা চরম নিন্দনীয় এবং পুরো রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। পরবর্তীতে উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে