উন্নতমানের ল্যাব সাংবাদিকতায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২১; সময়: ৩:০৮ অপরাহ্ণ |
উন্নতমানের ল্যাব সাংবাদিকতায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষানগরী হিসেবে সুপরিচিত পদ্মাপাড়ের রাজশাহী। শিক্ষার প্রসারে এই জেলার সুখ্যাতি রয়েছে দেশে থেকে দেশান্তরে। রাজশাহী নগরীর অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত উত্তরবঙ্গের প্রথম এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চলে আসছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের। দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম চললেও একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নির্মাণের মহাপরিকল্পনার আলোকে ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজশাহীর খড়খড়ি বাইপাসে প্রায় ৪০ বিঘা জাইগাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের এক ঝাঁক শিক্ষার্থী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ নির্মাণাাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যায়। এ সময় তাদেরকে নির্মাণাধীন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করান দ্বায়িত্বরত প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, প্রকৌশলী নিরু আহসানের ডিজাইনে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করছে দেশীয় কোম্পানি সিন্থেসিস। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকরা ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি । শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জুন মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার সুযোগ পাবে এবং ২০২২ সালের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজ সম্পন্ন হবে- এমন আশা ব্যাক্ত করেন তিনি।

স্থায়ী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা রাখবে এ প্রশ্নের উত্তরে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শাতিল সিরাজ বলেন, যেকানো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকলে তার শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অনেক বেশি জোরালো হয়। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নতুন স্পৃহা তৈরী হয়।

এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসটি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবে। এছাড়াও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১০ বছর ধরে উচ্চ শিক্ষায় অনেক বেশি অবদান রেখেছে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ধারাবাহিকভাবে গুনগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে সক্ষম এবং গবেষণা কাজে বরাবরই শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি উৎসাহিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থায়ী ক্যাম্পাস আমাদের আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতা শিক্ষা কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।এতে পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজ শিখতে হয় এবং মাঠে নেমেও কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রায়োগিক জ্ঞান কাজে লাগাতে চাইলে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও উন্নতমানের ল্যাব প্রয়োজন।এদিক থেকে আমরা অনেক বেশি আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন উন্নত মানের ল্যাব আমাদের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি প্রশিক্ষিত করে তুলবে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে কী প্রত্যাশা করেন-এ প্রশ্নের জবাবে বিভাগের প্রভাষক সালমা জান্নাত ঊর্মি বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসে আমরা অনেক ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবো বলে প্রত্যাশা করছি। এখানে কাজের পরিধি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বিভাগের একটি ল্যাব ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকলেও সেগুলোর ব্যবহার সীমিত। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর ল্যাবের যেসব সরঞ্জামগুলো রয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের সুযোগ পাবো। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসটিকে নিজের বলে মনে করতে পারবে এবং এই অনুভূতি থেকে তারা সব কাজে আরও বেশি আনন্দ পাবে। যার ফলে বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিবেদকের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বিভাগের প্রভাষক রমজান আলী বলেন, একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও এখানে জার্নালিজম বিভাগের জন্য উন্নত মানের কয়েকটি ল্যাব তৈরী হচ্ছে যা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজগুলোকে অনেক এগিয়ে নিবে।

জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ১০ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. সামাউন বশির শামস।তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, নতুন ক্যাম্পাস আমাদের মধ্যে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করবে।স্থায়ী ক্যম্পাস আমাদের নিজস্ব পরিচয় তৈরী করবে।এছাড়াও এখানে এসে জেনেছি উন্নতমানের ক্লাসরুমের পাশাপাশি সাংবাদিকতা বিভাগের জন্য বেশ কয়েকটি ল্যাব প্রস্তুত করা হচ্ছে যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ব্যবহারিক কাজগুলো আরও ভালোমত শিখতে পারবো বলে আশা করছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে