রাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১; সময়: ৭:১৭ অপরাহ্ণ |
রাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ূম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১০.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে মনোবিজ্ঞান বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

এর আগে বেলা ১০.১৫ টায় উপচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ইমিরেটাস ড. অরুণ কুমার বসাক, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও প্রফেসর ড. মো.সুলতান-উল-ইসলাম এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাহবুবা কানিজ কেয়ার উপস্থিতিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে ১০.৩০টায় মঞ্চে অতিথিদের আসন গ্রহণ ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মরণসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সাবিনা সুলতানা স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সভায় মূল আলোচক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ইমিরেটাস ড. অরুণ কুমার বসাক বলেন,“শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম একজন মানবতার প্রতীক ছিলেন।মুক্তিযুদ্ধে মহান আত্নত্যাগের স্বীকস্বরুপ এবং তার গবেষণার বিষয়বস্তুকে স্মরণীয় করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের জন্য ১.০৩.২০১০ মীর আব্দুল কাইয়ুম ডরমেটরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহীদ কাইয়ূম জ্ঞানত অবধারিত মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে, অকৃপণ মনকে প্রসারিত করে মুক্তিযুদ্ধের কর্মধারায় যোগ দিয়েছিলেন।আমার মতে মীর আব্দুল কাইয়ূমের দেশের প্রতি কর্তব্যের টানে আত্মবিসর্জন-এর মহান অবদান পুরষ্কারের দাবি রাখে।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি,সেখানে যাদের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি তাদের স্মৃতি, অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশ, জাতি গঠনে যারাই আত্মত্যাগ ও অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের স্মৃতি,কর্ম আমরা সংরক্ষণ করতে চাই।

ইতিমধ্যে, আমরা হাসান আজিজুল হক স্যারকে আমাদের বুকের কাছে রেখেছি; কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পাশে সমাধিস্থ করেছি। আমাদের এমন চিন্তা আছে যে, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত সকল শহীদদের স্মৃতি, কাজকর্ম সংরক্ষণ করার এবং তাদের প্রয়াণ দিবসে প্রশাসনিকভাবে তাদের স্মরণের। দ্রুতই আমরা এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিবো।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ূম এর ওপর নির্মিত জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘মরণজয়ী ফেরারী পাখি’ প্রদর্শিত হয়।

কর্মসূচীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও প্রফেসর ড. মো.সুলতান-উল-ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি রুহুল আমিন প্রমাণিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, শহীদ নওরোজদ্দৌলা খানের ছেলে আসাফদ্দৌলা খান গোলজার, ডেইলি স্টার পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার আলী হিমু প্রমুখ। এছাড়াও স্মরণসভায় মুক্তিযোদ্ধা, মীর আব্দুল কাইয়ূমের সহকর্মীসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষাথী উপস্থিত ছিলেন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে