প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বুয়েটের শিক্ষক
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সরকারি ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের এক শিক্ষকের নাম আসায় বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরত শিক্ষকরা পূর্ণ আস্থা রাখতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির ওপর। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত শিক্ষককে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
গেল ৬ই নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক জড়িতদের নাম। প্রশ্নপত্র ছাপানোর দায়িত্বে ছিল বেসরকারি আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির কনসালটেন্ট হিসেবে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর।
প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আসে শিক্ষক নিখিল রঞ্জনের নাম। এর সূত্র ধরে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান জানান, বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা বা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার যে প্রশ্ন করা হয় তার সঙ্গে উপাচার্য বা উপ উপাচার্যের কোনও সম্পৃক্ততা থাকে না। এ সুনাম নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন কাজ করে আসছে। তবে, এবার অনিয়মের ঘটনায় বুয়েটের এক শিক্ষকের নাম আসায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিব্রত বলেও জানান ড. আব্দুল জব্বার খান। তিনি বলেন, তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর বলেছেন, বুয়েটের গঠিত তদন্ত কমিটিকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় ৬ থেকে ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ১১ই নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। গেল বুধবার রাজধানীর দক্ষিণখান এবং মহাখালী থেকে আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।