দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আবেগ আপ্লুত রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১; সময়: ২:০১ অপরাহ্ণ |
দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আবেগ আপ্লুত রাবি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ প্রায় ১৯ মাস পর খুলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে অকেনে শিক্ষার্থীরাই আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

এদিকে বেলা ১০ টার দিকে বিভিন্ন ক্লাস পরিদর্শন করেন রাবি উপাচার্য। এসময় তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণের জন্য গত দুই মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সাথে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকদের যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রথম দিনেই ক্লাস গুলোতে শতকরা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। এর আগে গত ১৭ই অক্টোবর খুলে দেয়া হয় রাজশাহীর আবাসিক হলগুলো।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিল সভায় ২০ অক্টোবর ক্লাস শুরু কথা থাকলেও (ঈদে মিলাদুন্নবী) সরকারী বন্ধ থাকায় আগামীকাল ২১ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু হবে।

অন্তত একডোজ টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে কাল সকাল সশরীরে ক্লাস করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে প্রিয় ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মহামারীর কারণে শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের পূর্বনির্ধারিত আগামী জানুয়ারি ২ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ১২ দিনের শীতকালীন এবং ১৩ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ টিকা নেয়ার সাপেক্ষে গত ১৭ অক্টোবর থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ক্লাস এবং হলে থাকার বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পাসে, হলে বা ক্লাসে অবস্থানকালীন সময়ে সকলকে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং সরকার নির্দেশিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হলে বা ক্লাস কক্ষে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করতে হবে।

এছাড়া হল বিভাগে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। যেকোনো শিক্ষার্থীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে অতি দ্রুত হল বিভাগ কর্তৃপক্ষকে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রকে অবহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ এবং অ্যান্টিজেন অথবা আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করবে।

হলে অবস্থানকালে কোনো শিক্ষার্থীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিলে তাকে হলে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে আইসোলেশন কক্ষে পৃথক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে আবশ্যিকভাবে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। ক্যাম্পাসে কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে