রাবির সাবেক ভিসির দুর্নীতি তদন্ত নির্দেশনায় স্থগিতাদেশ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার তদন্তে দুদক চেয়ারম্যানকে দেয়া হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
দায়েরকৃত একটি রিটের বিবাদী সাবেক ভিসি আব্দুস সোবহানের আবেদন ও তার ওপর শুনানির প্রেক্ষিতে রবিবার এই আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিবাদী পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রিট পিটিশনারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসান দে আজিম।
এর আগে চলতি বছরে সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহানে দেয়া ১৩৮ শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ ও ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কনজিউমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের চৌধুরী একটি রিট আবেদন করেন।
রিটে বিবাদী করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসি ও দুদকের চেয়ারম্যান, রাবি উপাচার্য, রেজিস্টার ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানকে। পিটিশনারের পক্ষে ১৩৮ নিয়োগ ও ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল চাওয়া হয়।
এই রিটের ওপর গত ৬ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্টে বিচারপতি মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসাইন মোল্লাহর দ্বৈত ডিভিশন বেঞ্চ পিটিশনারের আবেদনক্রমে দুদক চেয়ারম্যানকে রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছিল কিনা, তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেন।
একই সঙ্গে গত ৫ মে ২০২১ তারিখের ১৩৮ নিয়োগ ও ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ৩ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন এবং আগামী ১৪ নবেম্বরের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এই বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ রাবির সাবেক ভিসিকে জড়িয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে যে আদেশ দিয়েছিল, আমরা আপিল বিভাগের চেম্বার জজের আদালতে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম।
রবিবার আমাদের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
