দুই শর্তে খোলা যাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১; সময়: ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ |
দুই শর্তে খোলা যাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে দুটি শর্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সারা দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি জরুরি নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইউজিসি।

নির্দেশনায় বলা হয়, শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট এর সিদ্ধান্তক্রমে নিজ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস, পরীক্ষা ইত্যাদিসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারবে। সেক্ষেত্রে মানতে হবে মঞ্জুরি কমিশনের শর্ত। এছাড়া দুটি শর্ত মেনে খুলতে পারবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। শর্ত দুটি হচ্ছে-

প্রথমত, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ ইতোমধ্যে কমপক্ষে এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে অথবা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সহযোগে জাতীয় সুরক্ষা সেবা ওয়েব পোর্টালে (https://surokkha.gov.bd/) অথবা surokkha app এর মাধ্যমে নিবন্ধন করে থাকলে।

দ্বিতীয়ত, ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব শিক্ষার্থী যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই, তারা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য ব্যবহার করে কমিশনের ওয়েবলিংক (https://univac.ugc.gov.bd) এ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন করে থাকলে এবং পরবর্তীতে জাতীয় সুরক্ষা সেবা ওয়েব পোর্টালে (https://surokkha.gov.bd) অথবা surokkha app এর মাধ্যমে টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে থাকলে।

প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলে কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও মহামারি আবার বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এ বছর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাসে ফিরেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্যাম্পাস ও হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর একে একে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল খুলে দিতে পদক্ষেপ নেয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এক বৈঠকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খুলে দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রক্রিয়া হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করতেও বলেছে। এজন্য সরকার শিক্ষার্থীদের বয়স এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের শর্তও শিথিল করে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে।

২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। অবশেষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম চালু করার অনুমতি মিলল।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে