রাবিতে অবৈধ নিয়োগের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১; সময়: ৭:০১ অপরাহ্ণ |

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্যের বিদায়বেলায় দেয়া নিয়োগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে সামাজিক মাধ্যমে হুমকি দেয়া হয়েছে। দ্যা ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে এই হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান হোসেন জানান, আরাফাত রহমানকে একটি ফেসবুক আইডি থেকে হুমকি দিয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সাধারণ ডায়েরিতে সাংবাদিক আরাফাত রহমান উল্লেখ করেন, ‘শুক্রবার সকাল ৭.৪৫ মিনিটে Saif Hassan নামের একটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে একটি বার্তার মাধ্যমে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এজন্য তিনি জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

Saif Hassan’ নামের সেই মেসেঞ্জার থেকে আরাফাত রহমানকে পাঠানো বার্তায় অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘খুব বেড়ে গেছিস তুই… ছাত্রলীগকে নিয়ে খুব চুলকানী তোর… জাস্ট ওয়েট কর, নিয়োগটা ঠিকঠাক হতে দে… তুই ক্যামনে ক্যাম্পাসে থাকিস দেখবো। জাস্ট ওয়ার্নিং দিলাম, হাত পা নিয়ে বাড়ি যেতে পারবি না।

সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের বিদায়বেলায় দেয়া অবৈধ নিয়োগ নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করেন আরাফাত রাহমান। এছাড়াও এই নিয়মের বিরুদ্ধেও সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করেন তিনি।

এই বিষয়ে সাংবাদিক আরাফাত রহমান বলেন, ‘কারা হুমকি দিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে যেভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে, তারা আমার কাজের ওপরে ক্ষুব্ধ। আমাকে দেয়া মেসেজে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ‘অবৈধ’ নিয়োগ বিষয়ের ইঙ্গিত করা হয়েছে। আমি যেহেতু এই ‘অবৈধ’ নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু সংবাদ লিখেছি। এসব সংবাদ প্রকাশের জেরে আমার ওপরে ক্ষুব্ধ হয়ে, এই হুমকি দেয়া হয়ে থাকতে পারে। এবিষয়ে আমি আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এর আগে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বাস ভাঙচুরের ছবি ও সংবাদ সংগ্রহের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন সাংবাদিক আরাফাত।

এসময় তার চোখ গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এই ঘটনায় রাবি ছাত্রলীগেরসহ সভাপতি আহমেদ সজীব, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়। ঘটনার ৪ বছরেও মামলার অগ্রগতি বা আসামীদের গ্রেফতার দেখাতে পারেনি পুলিশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে