ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাবি শিক্ষকের মামলা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১; সময়: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ |
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাবি শিক্ষকের মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪ ও ২৯ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। তার নামে ভুয়া জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে বিভিন্ন ধরনের মেইল প্রেরণ করার অভিযোগ তুলে মতিহার থানায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নগরের মতিহার থানা এসআই ইমরান হোসেন।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস গত রোবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস উল্লেখ করেন, ‘Zannatul Ferdous <[email protected]> নামীয় একটি ভুয়া ইমেইল আইডি খুলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবােধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে জনৈক প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সম্পর্কে কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কুৎসা রটনা করেছেন।

উক্ত ইমেইলটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষক তাদের স্ব স্ব ইমেইল প্রাপ্ত হয়েছেন, যা বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খানম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদুর রহমান, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড, মাে. রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিতাভ সাহা, আমাকে অবহিত করেছেন।’

অভিযোগপত্রে তিনি আরো উল্লেখ ককরেন, ‘আমি দীর্ঘ ২১ বছর যাবৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত সততা, দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতা করে আসছি। শিক্ষকতা জীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সহকারী প্রক্টর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবােধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য , প্রাধ্যক্ষ, ছাত্র উপদেষ্টা ও সিন্ডিকেট সদস্যসহ জেড, এইচ. সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনােলজি, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর এর উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি।

আমার নামে ভূয়া ইমেইল আইডি খুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকের ইমেইলে যে বা যারা উক্ত মেইলটি প্রেরণ করেছেন তারা কম্পিউটার তথা ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে আমার সম্মানহানি করেছেন, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৪ এবং ২৯ ধারা মতে শাস্তিযােগ্য অপরাধ।’

এদিকে শিক্ষকদের কাছে পাঠানো সেইসব জিমেইলের কয়েকটি কপিতে দেখা যায়, সেখানে আগামী ২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রার্থী অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামের নামে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটানো হয়েছে।

অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমার সম্মানহানি করার জন্য এবং নির্বাচনের এক প্রার্থীর সম্পর্কে অপপ্রচার করার জন্যই প্রতিপক্ষের কেউ এটা করে থাকতে পারেন। আমি এইসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আমার নাম ব্যবহার করে এর চেয়েও ভয়াবহ কোন কিছু প্রচারণা চাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করছি। এবং সেই ভয় থেকেই আমি অভিযোগটা করেছি।’

  • 148
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে