চাকরির দাবিতে আন্দোলনে রাবি ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২১; সময়: ১:২৮ অপরাহ্ণ |
চাকরির দাবিতে আন্দোলনে রাবি ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : চাকরির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার রাত ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করার ১২ ঘন্টা পর খুলে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়েছেন নেতাকর্মীরা। অবরুদ্ধের ১৪ ঘন্টা অতিক্রম হলেও এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন দুটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসন ভবনে ঢুকতে পারছে না কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রার দপ্তরের এড-হকে জালাল নামের একজন প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হন। কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয় জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে বাহিরে এসে তারা উপাচার্যের ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি সব ধরনের নিয়োগ বাতিল রাখার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ এড-হকে একজনের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কেন চাকরি হচ্ছে না। সেটি জানতেই নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন।’

আন্দোলনকারীদের অন্যতম রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। আমরা মনে করি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অ্যাক্ট আছে সেই অ্যাক্টের পরিপন্থী।

রাবি উপাচার্য যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে তাকে কেন অপসারণ করা হচ্ছে না? অপসারণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন এটা করেছে আমরা তার ব্যাখ্যা দাবি করছি।

তিনি বলেন, উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন কিছুক্ষণের মধ্যে। আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আসলে আমরা সরে যাবো। নাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। প্রায় ৩০ জন চাকরি প্রত্যাশী প্রশাসন ভবনের সামনেই অবস্থান করছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আন্দোলনকারীরা দুটো প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে রাখার কারণে আপাতত প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।

অবরুদ্ধ প্রশাসন ভবনে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে