শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র আটকে টাকা দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২১; সময়: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ |
শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র আটকে টাকা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষাগত যোগ্যতার সব কাগজপত্র ফেরত চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। কাগজপত্র আটকে রেখে টাকা দাবি করায় তারা এই অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। রোববার নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকার শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করে। পরে পুলিশ তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

তুহিন নামের এক শিক্ষার্থীরা জানায়, যদিও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নোটিশে জানিয়েছিল, ১০-১১ জানুয়ারি ভর্তি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ফেরত দেবে তারা। এদিন সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা আসতে থাকে মেডিকেল ক্যাম্পাসে। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এমডি ও অফিস কক্ষে তালা দেখে।এসময় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে সেখানেই অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত) প্রতিপালন না করায় রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অন্য বেসরকারি কলেজগুলোয় মাইগ্রেশন করার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গত ২ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মাইগ্রেশন করে ভর্তি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র দিচ্ছে না। এনিয়ে সকাল থেকে মেডিকেল ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে স্থানীয় থানার পুলিশ মেডিকেলে অবস্থান নেয়। সমস্যা নিরোসনে দুপুরে শিক্ষার্থীদের অ্যাডভোকেট ও মেডিকেল ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষের অ্যাডভোকেট এবং স্থানীয় চান্দ্রিমা থানার ওসি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসে। এতে সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়ার।

চান্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনি জানান, দুই আইনজীবী একমত। বিষয়টি মেডিকেল কলেজের এমডিকে জানানো হয়েছে। তিনি ঢাকা থেকে আসবেন তিনদিন পরে। তার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

  • 41
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে