রাজশাহী টিটিসির ১৩ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২০; সময়: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী টিটিসির ১৩ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ করোনাকালেও সম্প্রতি তিনি কেন্দ্রের ১৩ আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টিটিসির এসব বাসায় তাদেরই বসবাসের অধিকার আছে; কিন্তু অধ্যক্ষ তাদের বাসাছাড়া করে পছন্দের লোকদের বরাদ্দ দিতেই এ নোটিশ দিয়েছেন।

এদিকে বাসা ছাড়ার নোটিশ পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অধ্যক্ষের চাপাচাপি ও হুমকিতে ইতোমধ্যে দুই শিক্ষক বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্যও হয়েছেন।

জানা গেছে, ৯ জুলাই পাবনা থেকে রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি হয়ে আসেন এসএম ইমদাদুল হক। যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই বিতর্কিত নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। অনিয়ম-দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত এ অধ্যক্ষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কৌশলে বিভাজন তৈরি করেছেন। অনিয়ম করছেন নানা কায়দায়।

তবে অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী তার এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে নিজের পক্ষে নিতে সক্ষম হলেও অধিকাংশই তার বিপক্ষে। আর তাদের জব্দ করতেই সরকারি বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ তার আস্থাভাজন ও বিভিন্ন অনিয়মের সহযোগী কম্পাউন্ডার লুৎফর রহমানকে ভাড়ামুক্ত বাসা বরাদ্দ দিয়েছেন। এর আগে বিধিমালা ভেঙে তাকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও নিয়োগ দেন তিনি। একই সঙ্গে শিক্ষকদের বাসা কেড়ে নিয়ে তার আস্থাভাজন ১০ কর্মচারীকে ৫ শতাংশ ভাড়ায় বাসা বরাদ্দ দিয়েছেন, যা অনিয়মের পর্যায়ে পড়ে।

জানতে চাইলে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক বলেন, নিয়মানুযায়ী বাসা বরাদ্দ কমিটি ওই নোটিশ দিয়েছে। যারা ওই সময়ের মধ্যে বাসা ছাড়তে পারবেন না, তারা চিঠি দিয়ে জানালে কর্তৃপক্ষ সময় বাড়ানোর কথা বিবেচনা করবে।

একসঙ্গে অত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাসাছাড়া করার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা বিধি অনুযায়ী বাসায় থাকার অধিকারী নন। এছাড়া এতে বাসাভাড়া বাবদ ক্ষতি হচ্ছিল।

উল্লেখ্য, পাবনা টিটিসির অধ্যক্ষ থাকাকালীন ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ স্বেচ্ছাচার, অসদাচরণ ও স্বজনপ্রীতির মতো গুরুতর নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেখানকার শিক্ষকদের চাপ দিয়ে তিনি তার লিখে দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহারপত্রে সই করতে বাধ্য করেন। অনেকেই তার অত্যাচারে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।

আরও জানা গেছে, পাবনা থাকাকালীন তিনি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে নাজেহাল করেন। এমনকি তাদের গায়ে হাতও তোলেন। তবে কায়দা-কৌশলে উপর মহলে যোগাযোগ করে তিনি সব অভিযোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হন। রাজশাহীতে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। কর্মচারীকে ৫ শতাংশ ভাড়ায় বাসা বরাদ্দ দিয়েছেন, যা অনিয়মের পর্যায়ে পড়ে। সূত্র- যুগান্তর

  • 81
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে