খুলে যেতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২০; সময়: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ |
খুলে যেতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনা মহামারীর কারণে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে থেকে পুরোপুরি খুলে দেয়া যাবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে আগামী ১৪ নভেম্বরের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া যায় কি না, তা ভাবছে সরকার।

বুধবার শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদকদের একাংশের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম’র অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জরিপের ফল নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি না, নাকি এই ছুটিটি আরো বাড়বে, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারব- এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখনো কাজ করছি।

‘১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব আপনাদেরকে (গণমাধ্যম) জানিয়ে দিতে। কারণ ১৪ তারিখের আগে তো আমাদেরকে একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে। কাল বা পরশুর মধ্যে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হবে।’

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। মহামারীর কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না।

আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, ‘সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনাকে চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি। এই চেষ্টাটি চালিয়ে যেতে হবে, এটিকে আরও কত ভালো করা যায়, কারণ করোনা কতদিনে যাবে, কতদিনে সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি খুলে দিতে পারব, সে বিষয়গুলো কিন্তু এখনও বেশি অনিশ্চিত।’

‘সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি, যে তাদেরকে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে তাদের সিলেবাস কি করে পুরোপুরি শেষ করতে পারে, এসব নানান জিনিস আমরা ভাবছি।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে গত আট মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও নতুন করে আর ছুটি বাড়ানো হচ্ছে না। ১৫ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে। সেখানে পরবর্তী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু করা হবে। আগামী বছর নির্ধারিত সময়ে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলে এসএসসি পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতি শুরু করা হবে।’

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে- এমন খবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হলে সাথে সাথে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্বাস সভায় বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল। মহামারীর মধ্যে এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেবে না সরকার। আর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে