প্রাথমিকে পাঠদান পদ্ধতিতে আসছে পরিবর্তন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২০; সময়: ৯:০০ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিদ্যালয়ে শ্রেণি শিক্ষক নির্ধারিত বিষয়ের একটি পাঠ্য শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে মুখস্থ করে আসতে বলেন। আর শিক্ষার্থীরা সেই অনুযায়ী পাঠ্য মুখস্থ করে এসে শিক্ষকের কাছে উপস্থাপন করেন। গতানুগতিক এই পাঠদানের বাইরে আধুনিক ব্যবস্থায় যেতে চাইছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে, বিদ্যালয় কেন্দ্রিক লেখাপড়া বিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে শিক্ষকদের। প্রয়োজনে বেশি সময় শিক্ষার্থীরা থাকবে বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ে যা পাঠ্য শেষ করা যায় এমন পাঠ্য বিদ্যালয়েই সম্পন্ন করবে শিক্ষার্থীরা। যাতে বাড়িতে গিয়ে বিদ্যালয়ের চাপ সইতে না হয় তাদের। এ জন্য যেসব বিদ্যালয়ে ডাবল শিফট চালু রয়েছে তা বন্ধ করে সিঙ্গেল শিফট চালু করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় কেন্দ্রিক লেখাপড়া বিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বেশি সময় অবস্থান করে দিনের পাঠ দিনেই শেষ করবে। বাড়িতে গিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠের চাপ থাকবে থাকবে না। ফলে শিশুরা বাড়িতে সবার সঙ্গে আনন্দ করে কাটাতে পারবে। এ লক্ষ্যে ডাবল শিফট বাদ দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সিঙ্গেল শিফট করা হবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়ন করতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি নতুন কারিকুলাম কাঠামো তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ওই কাঠামোতে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রম পরিমার্জন করা হয়েছে। পরিমার্জিত কারিকুলামে এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময় বাড়িয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বর্তমানে এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সোয়া তিনটা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিবর্তিত এক শিফটের বিদ্যালয় পরিচালনায় যে সময় নির্ধারিত রয়েছে সেই সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে। দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে এক শিফটে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় ক্লাস রুমসহ অন্যান্য সুবিধা তৈরির মাধ্যমে ডাবল শিফট স্কুলগুলোকে ক্রমান্বয়ে সিঙ্গেল শিফট স্কুলে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে অবস্থানের সময় বৃদ্ধি ও লেখাপড়া স্কুল কেন্দ্রিক করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক হয়ে গেলেই এক শিফট চালু করতে পারবো। গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম সেখানে প্রি-প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কত ঘণ্টা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে