স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হচ্ছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২০; সময়: ১১:০১ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার মধ্যে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো স্কুল ও কলেজগুলোতে শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া যায় কি না, সে আলোচনা শুরু হয়েছে সরকারি মহলে। এ বিষয়ে মন্ত্রী ও সচিবদের মতামত চেয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

২০২২ সাল থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন নিয়ে এনসিটিবি যে রূপরেখা তৈরি করেছে, সেখানে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি রাখা হলে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, সেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “নতুন কারিকুলাম করে আমরা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছি। সেখানে ক্লাসের একটা হিসেবে করেছি। স্কুল যদি বছরে ১৮৫ দিন খোলা থাকে, তাহলে ক্লাসের জন্য কত ঘণ্টা পাওয়া যায়। আর সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখলে কত ঘণ্টা পাওয়া যাবে। এ রকম একটা ক্যালকুলেশন আমরা রূপরেখায় দিয়েছি।”

স্কুল-কলেজ সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখতে হবে এ রকম কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি জানিয়ে অধ্যাপক নারায়ন বলেন, “কারিকুলাম বাস্তবায়নে আমাদের রূপরেখা শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবদের দিয়ে আমরা অবজারভেশন চেয়েছি। মন্ত্রী ও সচিবদের মতামত নিয়ে ওই রূপরেখা এনসিসি-তে (পাঠ্যবই সংক্রান্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি) নেওয়া হবে। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত চাওয়া হবে। তার আগে আমরা মন্ত্রী ও সচিবদের পর্যবেক্ষণ চেয়েছি।”

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, “রূপরেখায় আমরা শুধু হিসেব করে দেখিয়েছি একদিন বন্ধ রাখলে কত ঘণ্টা ক্লাসের সুযোগ থাকে আর দুই দিন বন্ধ থাকলে কত ঘণ্টা ক্লাসের সুযোগ থাকে। দুইদিন বন্ধ থাকলে শিক্ষকরা বেশি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে আসতে পারবেন। ক্লাসের বাইরেও কিছু বিষয়ে মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন শিক্ষকরা। এসব বিষয় রূপরেখায় তুলে ধরা হয়েছে।”

এই রূপরেখার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনাটা শুরু হয়েছে।”

স্বাধীনতার পর দেশে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল একদিন এবং তা রোববার। এরশাদ আমলে সাপ্তাহিক ছুটি রোববারের পরিবর্তে প্রথমে শুক্র ও শনিবার করা হয়। পরে তা শুধু শুক্রবার করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬-২০০১) সময়ে সাপ্তাহিক ছুটি পুনরায় দুদিন করা হয়।

২০১৩ সালে সাপ্তাহিক ছুটি কমিয়ে একদিন করার উদ্যোগ নেওয়ার হলে তাতে সায় দেয়নি ওই সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এখন সরকারি অফিসগুলো শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলছে।

  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে