রুয়েট কর্মচারির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানেই ব্যবসা করার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০; সময়: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ |
রুয়েট কর্মচারির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানেই ব্যবসা করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একইসাথে ব্যবসা ও চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে। তথ্যমতে জানা যায়, ইমদাদুল হক ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর রুয়েটে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। রুয়েটে চাকুরীর করলেও তিনি তার পুরোনো ব্যাবসা দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের কাছে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও আজ তিনি রুয়েটের বড় মাপের একজন ঠিকাদার। ঠিকাদার হিসেবেই গড়ে তোলেন এই প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও তিনি পদন্নোতি পাওয়ার পর থেকে গড়ে তোলেন নিজের মনমতো সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রুয়েট প্রশাসনকে প্রভাবিত করে তিনি যাবতীয় কম্পিউটারের মালামাল ক্রয়ের কাজটা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, তিনি যে সব মালামাল গুলো সরবরাহ করেন তা অতি নিম্নমানের। এজন্য সরবরাহ কৃত মালামাল কয়েক দিন না যেতেই অকেজো হয়ে পড়ে। শুধু রুয়েটে নয় বাইরের বিভিন্ন দপ্তরেও মালামাল সরবরাহ করেন বলে জানান ইমদাদুল। এছাড়াও অফিসের কাজ বাদ দিয়ে ইমদাদুল বেশির ভাগ সময় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এই সিন্ডিকেটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।

সূত্র মতে, তিনি রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় কয়েক কাঠার প্লট ক্রয়, সিটি ভবনের পাশের্বর মার্কেটে বেশ কয়েকটি দোকানঘর ক্রয়, দামি প্রাইভেট কার করেছেন। সেইসাথে অজানা অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় সম্পদের হিসাব অনুযায়ী সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্সও দেননা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আসলে রুয়েট অফিস সমুহে যখন কম্পিউটার নষ্ট হয় বা কম্পিউটারের কোন কিছু লাগে এই ইমদাদুল হককে বললে খুব দ্রুত এনে দেন। আর মানের বিষয়ে আমরা খুবই কম বুঝি। রুয়েটের কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক ড. আলী হোসেন বলেন, তিনি যে ব্যবসা করেন সেটা জানি । ডিউটিরত অবস্থায় কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কোনভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্বদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন থেকে গত ৬ আগষ্ট ২০২০ তারিখে একটি নোটিশ জারি করেছে। সেখানে সু-ষ্পষ্ট লেখা রয়েছে যে এখানে চাকরিরত অবস্থায় কেউ কোন ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্যভাবে জড়াতে পারবেনা। তবে এরকম কোন অভিযোগ প্রমান হলে অবশ্যই প্রশাসন তার ব্যবস্থা নিবেন।

এবিষয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম শেখের নিকট টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে চাকরি করে কারো ব্যাবসা করার নিয়ম নেই। যদি আমরা জানতে পারি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুঠো ফোনে অভিযোগের বিষয়ে ইমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়ী জমি আমার আছে কিন্তু আমি নিয়মের বাইরে কিছু করিনায়। আমার এসব বিষয় আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অবগত আছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে