বেতন কমার শঙ্কায় সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকরা

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২০; সময়: ১:৪৬ অপরাহ্ণ |
বেতন কমার শঙ্কায় সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকরা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল এক ধাপ বাড়িয়ে ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। শিক্ষকদের দাবি, এ গ্রেডে শিক্ষকদের বেতন বাড়ার পরিবর্তে প্রতিমাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকা কমে যাবে। রোববার দেশের একটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

শিক্ষকরা বলছেন, সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড তারা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছেন। কারণ ওই গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন বাড়বে না; বরং অধিকাংশ শিক্ষকদের বেতন কমে যাবে। ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তির পর প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সে কারণে ১৩তম গ্রেডের উপরের ধাপে বেতন নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে যাওয়ার ফল পাবেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, কারও বেতন কমানো হবে না। বেতন স্কেলের ধাপে ধাপে মেলানো হবে। না মিললে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে বেতন নির্ধারণ করলে শিক্ষকদের বেতন ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে যাবে, যা চাকরিজীবনে আর সমন্বয় করা সম্ভব হবে না। এই বিষয়ে অর্থসচিব তাদের কথা দিয়েছিলেন যে, তাদের বেতন নিম্নধাপের পরিবর্তে উচ্চধাপে হবে এবং সেখানে পিপি বলতে কিছু থাকবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, বেতন স্কেল নির্ধারণের সাধারণ নিয়ম হলো ধাপে মিললে মিলল, না মিললে পে-প্রটেকশন দিয়ে পরের ধাপের ইনক্রিমেন্ট পেয়ে তা সমান হবে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন কেউ ৩১২৫ টাকা বেতন পান। নতুন গ্রেডে বেতন স্কেল ৩১০০ টাকায় ফিক্সেশন হলেও তার ২৫ টাকা মার যাবে না। পিপি হিসেবে পরের বছর ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে তা যোগ হবে।

এদিকে বেতন স্কেল নির্ধারণের পাশাপাশি ১৩তম গ্রেডের সুবিধা সহকারী শিক্ষকদের সবাই পাবেন কিনা এটা নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালের নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগবিধিতে সব শিক্ষকের নিয়োগ যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল উন্নীতকরণের প্রজ্ঞাপনেও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি উল্লেখ থাকায় বিপুল সংখ্যক সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেড থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

  • 44
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে