প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০; সময়: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এবার বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুলে এবং সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৪২২ জন। সেইসঙ্গে রিজার্ভ রাখা হয়েছে ৭৮টি। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে আগে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হতো। এর মধ্যে ২২ হাজার ট্যালেন্টপুলে ও ৩৩ হাজার জন সাধারণ বৃত্তি পেত। তবে ২০১৫ সাল থেকে এ বৃত্তি পাচ্ছে মোট ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থী। যাদেরকে বৃত্তির অর্থ দেয়া হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।

এদিকে, বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ ও সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্তদের ১৫০ টাকা করে দেয়া হলেও ২০১৫ থেকে যথাক্রমে মাসে ৩০০ ও ২২৫ টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সকল শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। আগে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছু সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হত। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

এদিকে, বৃত্তির ফলাফল অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ডডড.ফঢ়ব.মড়া.ষনফ-এ এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে পাওয়া যাবে।

এদিকে, রাজশাহীর স্বনামধন্য শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার এক শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল ও ৬জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বৃত্তির এ ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার রাজশাহী শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪৪জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ৭জন বৃত্তি লাভ করেছে। এছাড়া উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবার ১৯জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলো, আদিবা ফাইরুজ ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাওয়া অপর ৬জন শিক্ষার্থী হলো, মৌমিতা রহমান লিখি, তাহসিন তাজকিয়া জ্যোতি, ফাতেমা খাতুন, নমিরউদ্দিন জয়, আরাফাত সাত্তার, অর্ক আলফ্রেড সিস্ত সরেণ।

ফলাফলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, টানা সাত বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করছে। এছাড়াও জিপিএ-৫ ও বৃত্তিতেও সাফল্য অজর্ন করেছে। ২০১৩ সালে একজন, ২০১৪ সালে দুইজন, ২০১৫ সালে চারজন, ২০১৬ সালে তিনজন, ২০১৭ সালে পাঁচজন, ২০১৮ সালে তিনজন ও ২০১৯ সালে সাতজন বৃত্তি লাভ করেছে। তবে এবছর ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে