কাজী শোয়েব শাবাব এর ৫টি কবিতা

অবচেতন গোয়েন্দা গল্প পড়ে ‘রক্ত’ শব্দটা ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথার ভেতর। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়েছে অবচেতন এসে দাঁড়িয়েছে চেতনের..

কুকুর মাইগ্রেশান

মাহবুবুর রহমান বাদশাহ ঢাকার কুকুরকে কুত্তা বানিয়ে সরিয়ে দেয়া হবে অজপাড়াগাঁয় শহর কুত্তা শুন্য হবে। গ্রামে গ্রামে ঘুরবে শহুরে কুকুর। রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে দাহ করা হবে পেট্রোলে কেরোসিনে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মৃত্যুভুক..

অদৃশ্য রোদন

অশ্রু দ্যাখোনি, প্রলাপ দ্যাখোনি, দ্যাখোনি আর্তনাদ! তাই বোলে কি রোদন নেইকো? হৃদয়ক্ষরিত নাদ? নাইবা দ্যাখো হাহাকার তুমি দুঃখের সালতামামি! না-দ্যাখা দহন বহন করিছি দিবানিশি এই আমি! তুমি তো দ্যাখো ভাঁজকরা শার্ট কালিকরা..

মানচিত্রের কথা

মেঘের সঙ্গে খেলতে খেলতে সালভাদোর দালি হেঁটে যান। পিকাসো আর অবন ঠাকুর দিয়েছেন মেঘের নতুন মেল আইডি। কাল্পনিক সন্ত্রাসের ভেতর অন্য তুলিতে আঁকা শিমুল আর পলাশের ছবিকে অন্তর্লীন সিগনেচারে দেখে হৃদয় থেকে ধুয়ে ফেলি..

ভালবাসা মন্ত্রক চাই

প্রেম পরাজিত আজ,ভালবাসা ভেসে গেছে ভাসানের জলে মলিন হয়ে আসে মানবিক গুণের বহর যুথবদ্ধ মানুষ শামুকখোলসে গুটায় নিজেকে ক্রমশ ঠাঁই নেয় আত্মছাতার তলে। মাকড়সাজালের মত মৃত্যু চারিদিকে ভালবাসা খুন হয়, স্নেহ তার হারায়..

বাতাসে ভাসা আর্তনাদ

রক্তের চিৎকারে কেঁপে ওঠে ঘর জেগে যায় রাত, তবুও থামে না ঘাতকের আঘাত! একি আমার দেশ! একি আমার শহর বাড়ে রাত, বাড়ে ঘোর! অস্ত্রের দাপটে কাঁপে বাতাস বুকে জমে দীর্ঘশ্বাস চারিদিকে কেবল অস্থির নিশ্বাস ! বর্বরের আক্রমনে খুলি..

আরব ও ইসলামে পশুপাখির অবস্থান

তাসনীম আলম : ইসলামে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ রাত হলো লাইলাতুল কদর(ভাগ্য রজনী), যে রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয় এবং লাইলাতুল ইসরা বা মিরাজ(মুহাম্মদ সাঃ এর রাত্রিকালীন সফর, মক্কা থেকে জেরুজালেম এবং তাঁর উর্ধাকাশে গমন)। এই অভূতপূর্ব..

রেফারি

কুচি মুচি হয়ে নত মস্তকে দাঁড়াতে দাঁড়াতে মাথাটাই খসে পড়ে গেলো আপনার পায়ে পায়ে-পায়ে মাথাটা এদিক ওদিক সারাদিক প্রতিদিন সারাদিন ধরে এক জীবন্ত ফুটবল এপায়ে ওপায়ে গড়াগড়ি করতে করতে কখনো মাঠের উত্তরে কখনো দক্ষিণে কখনো..

মৎস্যকন্যা

বিশাল পাতালপুরী, খিলান, প্রবেশ দ্বার, প্রবাল প্রাচীর, তোমার বীণায় তান তুলেছ, মূর্ছনায় মাতে সমুদ্র পাখির দল মাঝে মাঝে কান পেতে শুনছো শব্দ কোন নরকের মহাজাগতিক কোন প্রতিধ্বনি প্রথমে শূন্যতা, পরে বাতাস বেয়ে জলতরঙ্গে..

topউপরে