বেতন কমছে নন্দীগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২; সময়: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ |
বেতন কমছে নন্দীগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরে অবস্থিত নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল জাতীয়করণ করা হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয়করণ পরবর্তী সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি বেতন ভাতাদি পেতে শুরু করে।

সে সময়ের উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহেদুর রহমানের সাথে আলোচনা করে সিনিয়র শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের ৬ষ্ঠ ধাপে ২১৪৭০ টাকা স্কেলে বেতন নির্ধারণ করে গত ১৩ মাস ধরে বেতন ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নতুন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোছাঃ শামীমা আকতার সিনিয়র শিক্ষকদের ১৬ হাজার টাকা বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে ও অতিরিক্ত গৃহীত বেতন ভাতাদি সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে মর্মে নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি চিঠি দেয়। এতে ওই বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী হতাশায় ভুগছেন।

ওই সিনিয়র শিক্ষকরা বলছেন, একজন জুনিয়র শিক্ষক চাকুরীতে যোগদান করে বেতন পাবে ১৬ হাজার টাকা স্কেলে আর একজন সিনিয়র শিক্ষক দীর্ঘদিন চাকুরী করেও বেতন পাবে ১৬ হাজার টাকা স্কেলে। এটা কি ভাবে হয়। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জাতীয়করণ করেছেন। তিনি যেন আমাদের এ সমস্যার সমাধান করেন।

নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্র বলেন, নতুন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ওই চিঠি পাওয়ার পর থেকে সিনিয়র শিক্ষকরা হীনমন্যতায় ভুগছেন। ১৯৮৩ সালের বিধিমালার-০৩ এর উপবিধি-০৩ এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী সরকারি চাকুরীজীবীদের জন্য প্রযোজ্য জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর বিধি-০৫ মোতাবেক আমাদের বেতন ভাতাদি পাওয়ার কথা।

সে মোতাবেক আমরা বেতন ভাতাদি পেয়েও আসছি। এখন হিসাবরক্ষণ অফিস কেন যে আমাদের উপর সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্নীকরণ বিধিমালা-২০১৮ চাপিয়ে দিচ্ছেন তা বুঝতে পারছিনা। আমি আমাদের মতো জাতীয়করণ অনেক প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়েছি। কোন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চিঠি দেওয়া হয়নি।

এবিষয় জানতে চাইলে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোছাঃ শামীমা আকতার বলেন, আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেই নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে