শিবগঞ্জের বহলাবাড়ি ঘাটে ইজারা ছাড়াই টাকা উত্তোলন, রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২; সময়: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ |
শিবগঞ্জের বহলাবাড়ি ঘাটে ইজারা ছাড়াই টাকা উত্তোলন, রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বহলাবাড়ি-জাহাঙ্গীরপাড়া ঘাটে ইজারা ছাড়াই টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে এ এস আই খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এদিকে ইজারা ছাড়াই টাকা উত্তোলনে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

জানা গেছে- প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও উপজেলা প্রশাসন ১ম ও ২য় ধাপে ইজারা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করেন। এরপর গ্রাহকরা সিডিউল ক্রয় করেও রহস্যজনক কারণে সিডিউল জমা দিতে পারেননি। ফলে ১৪ মে বহলাবাড়ি-জাহাঙ্গীরপাড়া ঘাটটি ইজারা দেয়া হয়নি। এ সুযোগে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে ঘাট পারাপারের জন্য জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন বহলাবাড়ি গ্রামের বাহার আলীর ছেলে ও এ এস আই খায়রুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে- ঘাটে নদীর উপর দিয়েই অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে ট্রাকযোগে উত্তোলন করা মাটি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রয় করে আসছে খাইরুল ইসলামের সিন্ডিকেটের লোকজন।

সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন- ছোট চকপাড়া গ্রামের মৃত হুসেন আলীর ছেলে বর্তমান ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, একই গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাশেম, একই গ্রামের হুমায়ন হাজির ছেলে বিএনপির সদস্য সেরাজুল ও দশ ভাইয়াপাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তারিফ মাস্টারসহ অন্যরা। স্থানীয়রা জানায়, পদ্মার বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন পদ্মা নদীর কৃষি জমির মাটি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদিন ৫-৬টি এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০টি ট্রাক্টর মাটি উত্তোলন করে আসছে।

ফলে ঘাটে ট্রাক্টর প্রতি খাজনা নেয়া হয় ২০০ টাকা। স্থানীয়রা অভিযো করে বলেন, ঘাট থেকে শুরু করে মাটি কাটা পর্যন্ত সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন খায়রুল পুলিশ। কয়েক বছর থেকেই খাইরুল পুলিশ এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে। প্রতি ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হচ্ছে ১৩’শ থেকে ১৭’শ টাকা। যদিও দূরত্ব অনুযায়ী ট্রাক্টরের প্রতি মূল্য নির্ধারণ করেন তারা। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে- অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাবে। অবিলম্বে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে খায়রুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মন্তব্য মেলেনি। তবে সদ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, কয়েকদিন হলো যোগদান করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নয়। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন জানান, সরজমিন পরিদর্শন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে