মসজিদে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদার কান্দি গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ মসজিদে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম কুদ্দুস বেপারী (৬৫)।
কুদ্দুস বেপারী চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদ্দার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২০ জন আহত হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, সকালে চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদ্দার কান্দি গ্রামের ঈদের জামাত শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার ও থানা আওয়ামীলেীগের সহ-সভাপতি হারুন হাওলাদারের সমর্থকদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কুদ্দুস বেপারীসহ প্রায় ১০ গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা কুদ্দুস বেপারীকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় এলাকায় থম থম অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩মে) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মসজিদে স্থানীয় সৈয়দ সরদার এবং ইমাম হোসেন মারামারি হয়। পরবর্তীতে এ মারামারি চিতলিয়া ইউনিয়নের সালাম হাওলাদার এবং হারুন হাওলাদাড়ের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক আকারে সংঘর্ষ বাধে।
এ সংঘর্ষের কবলে পড়ে কুদ্দুস বেপারী (৬৫) নিহত হয়। এ মারামারিতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। চিতলিয়া ইউনিয়নের দুই গ্রুপের মারামারি বিষয়টি পালং থানাকে অবগত করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পালং থানার পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার বৃদ্ধ কুদ্দুস বেপারী কে মৃত ঘোষণা করে। আহতদের মধ্যে সৈয়দ সরদার(৪০) এবং জয়নাল বেপারী(৭৫) আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিতলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে হারুন হাওলাদার আমাদের সাথে পায়ে পাড়া দিয়ে মারামারির চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বিষয়টি পালং থানার ওসিকে জানিয়েছিলাম।
হারুন হাওলাদার ওরফে মাস্টার এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। সালাম হাওলাদারের লোকজন আমাদের সাথে মারামারি করবে এমন একটি ঘটনা শুনে আমি পালং থানার ওসিকে জানিয়েছিলাম। ওই মারামারিতে আমারও ছয়জন আহত হয়েছে। তবে আমি শুনেছি বৃদ্ধ কুদ্দুস বেপারী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস আছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, মারামারি বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমিসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই । আহতদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। শুনেছি একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই লাশের ময়না তদন্ত হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।