চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপরিকল্পিত পানি উত্তোলনে ভু-গর্ভস্থ পানি নিম্নমূখী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২; সময়: ১০:২৯ অপরাহ্ণ |
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপরিকল্পিত পানি উত্তোলনে ভু-গর্ভস্থ পানি নিম্নমূখী

আমিনুল ইসলাম তন্ময়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : মাটির নিচ থেকে যান্ত্রিক উপায়ে অপরিকল্পিত ভাবে পানি উত্তেলনের কারণে ধীরে-ধীরে নিম্নমূখী হচ্ছে পানির স্থর। মাটির গভীরে ভু-গর্ভে থাকা পাথরের স্তর, বালুসহ প্রাকৃতিক বহু ধরনের মাটি কেটেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের উচু এলাকাগুলোয়ও পাওয়া যাচ্ছে না সুপেয় স্বচ্ছ খাবার পানির পাশিাপাশি সেচ কাজে ব্যবহার যোগ্য পানিও। আর এ কারণেই বরেন্দ্র এলাকা খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরসহ জেলার উঁচু ভুমি নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট এবং শিবগঞ্জ উপজেলার আংশিক এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য মানুষের হাহাকার যেন নিত্য সঙ্গী।

স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভাষ্য মতে, অপরিকল্পিত উপায়ে অগভীর নলকূপ স্থাপন করে লাগামহীন ভাবে পানি উত্তেলনের কারণে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। মাটির নিচে ভারী মেশিন বসিয়ে দেড়, তিন, চার বা ছয় ইঞ্চি পাইপ স্থাপনকালে ৫৬ থেকে ৭৮ ফুট নিচে পাথরের স্থর পাওয়া যাচ্ছে। অত্যাধুনিক মেশিনে সেই পাথর কেটে মাটির আরোও গভীরে গিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না ব্যবহারযোগ্য পানি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল সরেজমিনে গিয়ে এবং মাটি, পানি, পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন দপ্তরে কথা বলে হতাশাজনক এমন তথ্য পাওয়া যায়। দপ্তরগুলোর দেয়া তথ্যানুয়ায়ী, মাটির গভীর ভেদ করে এমন অপরিকল্পিত পানি উত্তেলন রোধ না করা গেলে অদুর ভবিষ্যতে মরুকরণ প্রক্রিয়ায় পড়বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিকাংশ এলাকাসহ পার্শবতি জেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর এবং নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর, সাপাহার এলাকা।

বর্ষা-বন্যা মৌসুমে কানায়-কানায় পানিতে ভরা; যৌবন পরিপূর্ণ থাকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বিলভাতিয়া বিলের। ভারত সীমান্ত লাগোয়া ১৯ হাজার বিঘা পরিধির এলাকায় এই বিল ভাতিয়া। জলজ-উদ্ভিদ, দেশী মাছ, জলজ প্রাণীসহ বৈচিত্রময় এই বিলকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

আবহাওয়ার বৈশ্বিক পরিবর্তন ও আমাদের অবিবেচনা প্রসূত, লাগামহীন ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে এই বিশ্ব যেমন উষ্ণ ও অবাসযোগ্য হচ্ছে। তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এবং পৃথিবীর জলজ ও স্থলজ নানা প্রজাতিকে মারাত্মক হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। ফলে প্রত্যেক দিন হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য জীববৈচিত্র। এই বিলে জন্মায় প্রচুর প্রাকৃতিক দল ঘাস। জমির উর্বতার বৃদ্ধির জন্য ভোদ ও ভেদর। পদ্ম, শাপলা, শালুক, চাকা, মাখনা সিংগারা, ভ্যাট ইত্যাদী। দল বেঁধে আসে নানা বর্ণের দেশী-বিদেশী অতিথি পাখি। মানুষ আর পশু-পাখির কল-কাকলীতে ভরে থাকে এই ভাতিয়ার বিল।

কিন্তু হারিয়ে গেছে সেই সৌনন্দর্য্য। হারিয়ে গেছে পানি। বিলভাতিয়া এখন কঙ্গল, নামে মাত্র পড়ে আছে। যৌবন-যৌলুষ কিছুই নেই। চেনার উপায় নেই বিলভাতিয়াকে। যেখানে থৈ-থৈ পানি, ফুটে থাকে পদ্ম। হাজার হাজার মানুষ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসতেন, সে জায়গাতে আজ এক চিলতে পানিও নেই। পদ্ম ফুল লতা গাছের মরদেহ শুকিয়ে পড়ে আছে। প্রচন্ড দাবদাহে মাটি ফেটে বিলের চারদিক হাহাকার করছে। শুকনা বিলের কোথাও ঘাস নেই।

গোখ্যদ্য হিসেবে পরিচিত ঘাসের সন্ধানে গরু নিয়ে ছুটে চলা পত্রিশ বছরের কৃষক রবিউল ইসলাম রবু। তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে বিলভাতিয়ার কথা জানতে চাইলে, তিনি হতাশ কণ্ঠে স্থানীয় ভাষায় জানান, যেখানে খাড়িয়া আছি, ওখ্যানে পদ্ম ফুল ফুটে থাকতো। আর এখন! দশ বছরের মধ্যেও দেখা যায়নি জি। হারা ছোট থাকতে গরু চরাতে আইসা পদ্মচাকা, ভ্যাটফুল তুলে লিয়্যা গেছি বাড়ী। বাহির থেকে প্যান্ট-শাার্ট পরা মানুষ এ্যাইসা নৌকায় চড়ে পদ্মচাকা তুলতো, ছবি তুলতো। অনেকেই পিকনিক বা বাড়ীতে খানা দিলে পদ্ম পাতা তুলে নিয়ে যেতো। আজ এ জায়গাটা শুকিয়ে খাঁ খাঁ। পদ্মচাকার গাছ গালা মরে গেছে। চিনায় যায়না এখানে পদ্মচাকার গাছ ছিলো।

এদিকে বিলভাতিয়া মাঠে আসা কৃষক সহিমুদ্দিন জানান, ভাইত্যাতে পানি ন্যাই। প্রচন্ড তাপে শুকিয়া সব জায়গাতে ফাঁটল ধরেছে। যার কারণে পদ্মচাক্কা,শাপলা, শালুক, চাকা, মাখনা সিংগারা, ভ্যাটসহ নানা প্রকার জলজ উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানান, বিল ভাতিয়ায় এখন পানি নেই, জমি চাষাবাদ করতে হলে, যন্ত্রচালিত শ্যালো মেশিন আট/দশ হাত মাটি খনন করে নিচে বসানোর পর হতাশাজনক পানি পাওয়া যায় জমির সেচ কাজের জন্য।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভোলাহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান জানান, দিনের পর দিন মানুষ মাটি কেটে বিল ভরাট করে; আবাদি জমির তৈরী করা এবং স্লুইচ গেট পাশে শিবগঞ্জ উপজেলার মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাদের ইচ্ছে মত পানি বের করার কারণে বিলভাতি পানি শূন্য হয়ে যায়। তিনি জানান, সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে যদি দীঘি তৈরী করে তবে পানি সংরক্ষিত হয়ে কৃষি, জলজ উদ্ভিদ ও দেশী মাছ পাওয়া যাবে।

এদিকে ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান জানান, জলজ উদ্ভিদ ফিরে পেতে হলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল-বিলভাতিয়ার উপর সরকারকে ব্যাপক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। খনন করে পানি ধরে রাখলে জলজ উদ্ভিদকে বাঁচানো যাবে। সেই সাথে কৃষি ফসল উৎপাদনে কৃষকের পানির সমস্যা হবে না। সব চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, ভারসাম্য আসবে স্থানীয় প্রকৃতিক পরিবেশে।

প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে এমন অবস্থা শুধু ভোলাহাটের বিলভাতিয়া বিলেই নয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলাপর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মার শাখা নদী পাগলা। বর্ষা-বন্যা মৌসুমে উত্তাল থাকে পাগলা নদী, শুকনো মৌসুমে সরু নালা যেন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানালেন, চৈত্র-বৈশাখে পদ্ম নদীর শুষ্কতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পাগলা নদী। বিপর্যুস্ত প্রকৃতির বৈরিতায় পাগলা এখন মরা নদী, সরু নালা। দুর দুরান্তের কৃষিজীবীরা ভারী মেশিনের সাহায্যে আট ও বারো ইঞ্চি পাপের সাহায্যে পাগলা নদী থেকে পানি নিয়ে যায় আবাদী জমিতে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই কর্মকর্তার দাবী, এর বিরুপ প্রভাব পড়ে প্রকৃতির উপর। রুক্ষতা বাড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে।

এলাকা সরজমিনে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের বিলভাতিয়ায় ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধানচাষ করেছেন আব্দুর রহিম। নিজস্ব শ্যালো মেশিনে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে গত বছর থেকে বোরো ধানের চাষ করছেন তিনি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক ভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ দিতে না পারায় ফাটল ধরেছে জমিতে। অবশেষে তার শ্যালো মেশিনটি গর্ত করে ১০/১২ ফুট নিচে নামিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হচ্ছে না। হতাশ হয়ে আব্দুর রহিম ও তার ছেলে ফাটল ধরা জমির চারপাশ ঘোরাঘোরি করতে দেখা গেছে।

আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গত বছর ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। সে বছরও পানির সমস্যা হয়েছিলো। বৃষ্টির পানিতে ধান বাঁচাতে পেরেছিলাম। এ বছর এখন পর্যন্ত বৃষ্টির পানি নেই। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত বছরের চেয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় এবং শ্যালো মেশিনে পানি না উঠায় সমতল থেকে ১০/১২ ফুট মাটির নিচে দিয়েও পানি উঠছে না। শেষ পর্যন্ত আম গাছে বিষ স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ড্রামে পানি নিয়ে এসে ধানে স্প্রে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, তার পাশের বিশু নামের এক কৃষকের শ্যালো মেশিনে পানি উঠা বন্ধ হওয়ায় জমি ছেড়ে চলে গেছে। তিনি দাবী করেন, এ সব এলাকায় শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে যে সব বোরো ধান চাষ হয়েছে সে সব জমির ধান সেচ সংকটে মরে গেছে। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

বোরো চাষী তৈয়নুর রহমান বলেন, পানি নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো মেশিনে পাতাল থেকে পানি উঠে না। যার কারণে হাজার-হাজার বিঘা জমির ধান মরে গেছে। মাঠের সব শ্যালো মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ মরা ধান কেটে কেটে গরু-মহিষকে খাওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে বাড়ীতে।

তিনি জানান, শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি উঠছে না। যার কারণে ধান মরে গেছে। স্কীমে ৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। পানি না উঠায় সব ধান মরে গেছে। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে শ্রমিক, সার-বিষ, হালচাষসহ খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। প্রায় আড়াই হাজার বিঘা জমিতে বিঘা প্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ হলে ২ কোটি টাকার উপরে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তিনি জানান।

মইনুর আরো বলেন, শ্যালো মেশিনে ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যা হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে সেমিডিপ স্থাপন করলে এ সব জমিতে পানি সংকট থাকবে না। ঐ এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, শ্যালো মেশিনের পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ বসালে ধানের সমস্যা হবে না।

এ ব্যাপারে ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় কৃষকেরা হতাশ হচ্ছেন। বিশাল বড় বিলভাতিয়া সরকারী উদ্যোগে খনন করলে পানি সংকট থাকবে না। সংরক্ষিত পানি থেকে কৃষি জমি চাষ অল্প ব্যয়ে বেশী ফলন পাবেন কৃষকেরা। তিনি বলেন, ভোলাহাটে মোট ৩’শ ডিজেল চালিত মেশিন রয়েছে। বৃষ্টি হলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কিছুটা ওপরে উঠবে। নয়তো বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, জানান তিনি।

খ্যাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা নামে পরিচিত উঁচু ভুমির বরেন্দ্র অঞ্চল নাচোল। শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আতংকে থাকেন কৃষক, সোনালী স্বপ্ন খেতের ধান নিয়ে। ১৪হাজার ৬২৬হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়। শীষ ফোটা অধিকাংশ জমি থাকে পানি শুন্য-সেচ সংকটে। এখানে মাটির স্তর নিম্নমূখি, দুৃই’শ/ আড়াই’শ ফুট মাটি খনন করেও সেচের পানি পাওয়া যায় না। স্থানী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী বুলবুল আহম্মেদ জানান, তীব্র সেচ সংকটে অনাবাদী রাখতে হয় ফসলি জমি। আর যে কৃষকরা চাষাবাদ করেন জমি, তাদের চেয়ে থাকতে হয় আকাশের বৃষ্টির দিকে, প্রকৃতির উপর।

ওই কৃষি কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে, উঁচু ভুমির বরেন্দ্র এলাকায়, চৈত্র-বৈশাখে প্রচন্ড তাপদাহে মাটি ফেটে চৌচির, প্রাণ ওষ্ঠগত। জমির ধানক্ষেত পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হন কৃষক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা জানালেন, তার এলাকা আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকা। পানির সঙ্গে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক পাঁচ। কিন্তু রানীহাটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় আর্সেনিকের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে।

নাম ও পদবী গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় এক সরকারী কৃষিবিদ জানান, অপরিকল্পিত ভাবে গভীর নলকূপ বসানো এবং ভু-গর্ভ থেকে পানি উত্তেলনের কারণে বিপর্যয়ের মুখে এলাকার ভু-প্রকৃতি। যা ক্রমে-ক্রমে রুদ্র রুপ ধারণ করছে। এর নাম জলবায়ূর পরিবর্তন কি না এবং এ থেকে প্রতিকারের উপায় কি, তা গবেষণা করে প্রতিকারের পন্থা বের করতে হবে বোদ্ধা গবেষকদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার সাহা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রকৃতি রুদ্র। অপরিকল্পিত পানি উত্তলনই মুলত আওে জন্য দায়ী।

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিএমডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বরেন্দ্রের বিধান ও কাঠামো অনুয়াযী গভীর নলকূপ স্থাপন না করে স্বেচ্ছাচার অনুয়ায়ী অতীতে স্বজনপ্রীতি করা হয়। বসানো হয় গভীর নলকূপ। এর কারণে দুর্গতিতে পড়েছে সেচ নিয়ে কৃষক-জোদ্দার মানুষ। যার বিরুপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে। এর পাশাপাশি অনেকাংশে দায়ী পরিবেশ বিপর্যায়ে যএতএ বৃক্ষ নিধন করা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে