বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রোগীকে প্রয়োগ করার অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২; সময়: ১:৫৩ অপরাহ্ণ |
বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রোগীকে প্রয়োগ করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বদলগাছী : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে সালবিটামল গ্রুপের শ্বাসকষ্ট রোগীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। গত ১৫ দিন যাবত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সালবিটামল গ্রুপের এই মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানাগেছে।

জানা যায়, বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এমন অভিযোগ করেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শ্বাসকষ্টের রোগী বেগম সুলতানা খানমের ছেলে এ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম ।

শাহানূর ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে আমার মায়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার মাকে নিয়ে আসি। চিকিৎসক তাঁর অবস্থা দেখে তাঁক গ্যাস দিতে বলেন। এ সময় গ্যাস দেয়া নেবুলাইজারে তরল সলিউশন সালবিটামল গ্রুপের ঔষুধ ব্যবহার করা হয়।

সলিউশনের গায়ে লেখা তারিখ অনুযায়ী দেখা যায় গত প্রায় ১৫ দিন আগেই সেই ঔষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। শাহানূর আরও বলেন, স্ব্স্থ্য কমপ্লেক্সে তার মায়ের আগে আরেক রোগীকেও শ্বাসকষ্টের ঔষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছিল সেটিরও মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। এরপর বিষয়টি আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা সেই ঔষুধ রোগীকে প্রয়োগ করা বন্ধ করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, এই হাসপাতালে এলাকার বেশিরভাগ সাধারন, অশিক্ষিত মানুষেরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। আর সেখানে যদি রোগীদেও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ প্রয়োগ করা হয় তাহলে আমরা এখানে কোন ভরসায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসবো। তারা আরো বলেন আমরা শুনেছি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভুল ঔষুধ প্রয়োগ এর কারনে রোগীদের মৃত্যু হয়।

এ ব্যপারে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঔষুধ সংরক্ষণাগারের স্টোরকিপার রুহুল আমিনের সাথে কথা বললে তিনি জরুরী বিভাগের লোকজনের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, ঔষুধের স্টোর থেকে এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। জরুরী বিভাগের লোকজন কোথা থেকে এই ঔষধ পেয়েছেন ও তা প্রয়োগ করছেন তা আমার জানা নেই। তবে এমন ঘটনার কথা তিনিও নাকি শুনেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. কানিজ ফারহানার সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে। আজ জানার পরে সেই ঔষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে