সুজানগরে শীতে কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২; সময়: ১:১৫ অপরাহ্ণ |
সুজানগরে শীতে কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর : শীতে পাবনার সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধুম পড়েছে কুমড়ো বড়ি তৈরির । সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর, খাপাড়া সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে স্থানীয় নারীরা ।

ভবানীপুর এলাকার খলিল নামক এক ব্যক্তি বলেন প্রতি বছর শীত আসলেই এসব এলাকার শত শত নারী সুস্বাদু এ কুমড়ো বড়ি তৈরি করে নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় রোদে শুকানার পর সেটি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি টাকা রোজগার করে থাকে । কুমড়ো বড়ি তৈরির সাথে জড়িত খাপাড়া এলাকার মাজেদা খাতুন বলেন মুলত তিন ধরণের কুমড়ো বড়ি তারা তৈরি করে থাকেন এর মধ্যে সবচেয়ে ভালটা তৈরি করা হয় শুধু কালাই এর ডাল,চাল কুমড়ো ও মসলা দিয়ে ,যাদের এলার্জী জাতীয় সমস্য রয়েছে।

তাদের জন্য তৈরি করা হয় এ্যাংকর ডাল, চাল কুমড়ো ও মসলা দিয়ে, আর যারা কম দামে কিনতে চান তাদের জন্য আলো চাউলের গুড়ো, চাল কুমড়ো ও মসলা দিয়ে ।শ্রী মালা রাণী নামে অন্য আরেক জন জানান আমাদের হাতে তৈরিকৃত কুমড়ো বড়ি স্থানীয় লোকজন ও ব্যাপারী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা এসে কিনে নিয়ে যান এবং কুমড়ো বড়ির মান ভেদে ১৮০/=টাকা কেজি থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা কেজি দরে তারা এটি বিক্রি করে থাকেন আর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক ।

সুজানগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,বিশিষ্ট কবি ও প্রবীন সাংবাদিক আব্দুস শুকুর জানান, সুজানগরে ভাল মানের কুমড়ো বড়ি তৈরি হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেক মানুষ বিদেশও নিয়ে গিয়ে থাকেন। মানিকদীর এলাকার খালেক হোসেন বলেন কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।

তাদের আর এর জন্য খুব ভোরে উঠেই কাজ শুরু করে রোদ উঠার সাথে সাথে তারা সাদা কাপড় বিছিয়ে কুমড়ো বড়ি চাটাইয়ের উপর রেখে বিভিন্ন পদ্ধতিতে শুকিয়ে থাকেন । তিনি আরো জানান এ কাজের সাথে জড়িতদের বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের মানুষ ।তাই এ কাজের সাথে জড়িতদের সার্বিক সহযোগিতার দাবী জানান সরকারের নিকট ।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে