নজিপুরে ইভিএম নিয়ে নানা শঙ্কা ভোটারদের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২১; সময়: ১:৫১ অপরাহ্ণ |
নজিপুরে ইভিএম নিয়ে নানা শঙ্কা ভোটারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, পত্নীতলা : ইভিএমটা কি? মেশিন নাকি কম্পিউটার। ভোট কি মেশিনই দিবে? কে কীভাবে কোথায় টিপ দিবে। আমরা তাহলে কি করবো? এক মার্কায় দিলে আরেক মার্কায় চলে যাবে না তো? ব্যালট আর সিল দিবে না কেন? ভোট দিবো কীভাবে? গণনা কীভাবে ও কারা করবে? কোনো কারচুপি হবে না তো? মেশিন টিপতে টিপতে সময় শেষ হয়ে যাবেনা তে। ভোট কাস্ট হবে কম না বেশী । এখনো তো এখানকার শতকরা অর্ধেক নারী-পুরুষ ইভিএম বোঝে না। তাহলে তারা ৫ তারিখ ভোটটা দেবে কীভাবে? এমন সব হাজারো প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পত্নীতলার সদর নজিপুর ইউনিয়নের ভোটারদের মনে। চিন্তায় ঘুম হারাম অনেক প্রার্থীরও।

তবে আশার বাণী হচ্ছে ভোটের আগে দিনব্যাপী ‘মক ভোটিং’-এর মাধ্যমে ইভিএম বিষয়ে ভোটারদের শিক্ষা দেয়া হবে।

সরজমিনে প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পত্নীতলার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু নজিপুর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএম (ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে। যা নজিপুর ইউনিয়নের ইতিহাসে প্রথম।

বাকি ১০টি ইউনিয়নে আগের পদ্ধতিতে ব্যালট ও সিলের মাধ্যমেই হবে ভোটগ্রহণ। ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধরনের ধারণা নেই এখানকার ভোটারদের। বিশেষ করে স্বল্প শিক্ষিত ও নিরক্ষর লোকজন ইভিএম বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। তাদের ধারণা ভোট দিতেই পারবেন না। অথবা ভোট দিলেও ভুলের কারণে বাতিল হয়ে যাবে। মোটামুটি বা উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণির লোকজন ভোট দিতে পারার ধারণা পোষণ করলেও টেনশনে আছেন অনেকেই ।

ইউনিয়নের ৫ নং ওর্য়াড নাদৌড় গ্রামেড় সাধারণ ভোটার সহ অনেকে বলেন, ইভিএম শুনে কেন্দ্রে যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে না। এটা নাকি কারেন্টে মেশিনে হবে ভোট। আমাদেরকে কেউ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণাও দেয়নি। ভোট নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। ওই ইউনিয়নের হাবিবুর,শামসুল, সাখোয়াত, শ্যামলী বুলবুলি, পারভীন সহ একাধিক ভোটার বলেন, আমরা নিজেরা এ পদ্ধতি কোনোদিন দেখিনি। তাই কিছু বুঝিও না।

জানা যায় নজিপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড নাদৌড় গ্রাম ভোটার সংখা মাত্র এক হাজার এখানে সাধারন মেম্বার পদে লড়বেন ১০ জন এবং সংরক্ষিত সদস্যপদে ৩ জন। তুমূল প্রতিযোগীতা হবে এ ওয়ার্ডে। শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে তাদের ভোট গ্রহন।

এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন নজিপুর ইউনিয়নে ‘মক ভোটিং’ এর মাধ্যমে ভোটারদের ইভিএম ভোট পদ্ধতি শিখানো হবে, এ পদ্ধতি খুব সহজ, অল্প সময়ে ভোট দেওয়া যায় । এখানে যেহেতু ইভিএম পদ্ধতিটি একেবারেই প্রথম । তবে ‘মক ভোটিং’ প্রোগ্রামটি দেখার পর ভোটারদের ধারণা পাল্টে যাবে। উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৯ জন, মোট কেন্দ্র ১০০ টি, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয় ফরম উত্তোলন হয়েছে ৩৯২ টি। আশা করছি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহনে হবে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে