রাণীনগরে পানি সেচ না দেয়ায় প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান নষ্ট

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২১; সময়: ২:২৪ অপরাহ্ণ |
রাণীনগরে পানি সেচ না দেয়ায় প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান নষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর : নওগাঁর রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে ধানের জমিতে সঠিকভাবে পানি সেচ না দেয়ায় প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ ওঠেছে। এঘটনায় গভীর নলকূপ মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,বিএমডিএ এবং কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষকরা।

জানাগেছে, উপজেলার বেল ঘড়িয়া মৌজায় ৯৫ ও ৯৬ দাগে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে প্রায় ১৩০ বিঘা ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া হয়। গভীর নলকূপটির অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন একই এলাকার খাগড়া গ্রামের সাহান মহুরীর স্ত্রী বেবি খাতুন। বেবি খাতুনের আওতায় পানি সেচের দায়িত্বে রয়েছেন বেলঘড়িয়া গ্রামের সুকদেব ও স্বপন নামে দুই ব্যাক্তি।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন,গভীর নলকূপ স্থাপনের পর থেকে প্রায় প্রতিটি মৌসুমেই পানি সেচের টাকা নিলেও সঠিক ভাবে ধানে পানি সেচ দেয়া হয়না।ফলে পানি অভাবে তুলনা মূলকভাবে ধানের ফলন কমে যায়। চলতি আমন মৌসুমে শেষের দিকে অনা বৃষ্টি ও প্রচন্ড খড়ায় ধানের জমি শুখে যায়। প্রতি বিঘা জমিতে পানি সেচ দিতে এক হাজার টাকা করে মূল্য ধরেছেন গভীর নলকূপে দায়িত্বরতরা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পানি সেচ দেয়নি। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা গভীর নলকূপের মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্প ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কৃষক এবাদুল হক,আবু বক্কর সিদ্দিক,আলেফ হোসেন ও বজলুল হক জানান,পানির জন্য দায়িত্বে থাকা লোকজনকে বার বার বলেও জমিতে সঠিকভাবে পানি সেচ দেয়নি। ফলে পানি অভাবে ওই স্কিমের মধ্যে প্রায় ৫০ বিঘা আতব ধানের জমির মাটি ফেটে গেছে এবং ধানের শীষ মরে সাদা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যেখানে বিঘাপ্রতি প্রায় ১২/১৪ মন হারে ফলন হওয়ার কথা সেখানে হয়তো ২/৪মন হারে ধান হতে পারে। আমরা এর ক্ষতিপূরণ ও সঠিক বিচার দাবি করছি।

এব্যাপারে গভীর নলকূপের অপারেটর বেবি খাতুন বলেন,নলকূপ আমার নামে আছে কিন্তু পানি সেচ বা সবকিছু করে বেলঘড়িয়া গ্রামের সুকদেব ও স্বপন। সেখানে কি হয়েছে এটা সঠিক বলতে পারবোনা।

পানি সেচের দায়িত্বে থাকা সুকদেব চন্দ্র বলেন,কৃষকরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। ব্লাস্ট রোগে স্কিমের মধ্যে বেশ কিছু জমির ধান নষ্ট হয়েছে।

রাণীনগর উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম ফারুক বলেন,পানি সেচের অভাবেই যদি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে থাকেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে