নিয়ামতপুরে ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১; সময়: ৪:১০ অপরাহ্ণ |
নিয়ামতপুরে ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : ছাগলে কাটা ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী তারামনি বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আহারকান্দর গ্রামে।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহারকান্দর গ্রামের সধন পাহান জামুরহাট গ্রামের ধারে নিজস্ব জমিতে ধান কেটে রাখে। এ সময় জামুরহাট গ্রামের হাবিবুর রহমানের একটি ছাগল সেই কাটা ধান খায়। সে সময় সধন পাহারে দুই ছেলে সজিব পাহান (১৯) এবং সঞ্জিব পাহান (১২) ছাগলটি ধরে স্থানীয় খোয়াড়ে দেওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।

এমতাবস্থায় ঐ গ্রামের মানিক প্রামানিকের স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৫), হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ইসমোতারা বেগম (৪০), মানিক প্রামানিকের কন্যা কাবেরী (২২), নইমুদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (৪২) এবং নিমদীঘি গ্রামের লটু ইসলামের ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) তাদের ঘিরে ছাগল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে, চড় থাপ্পর মারে এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় তাদের পিতা সধন পাহান এগিয়ে আসলে তারা তাকে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে এক পর্যায়ে জালাল উদ্দিন ও ইসমোতারা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়।

আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য ঐ দিনই ১৯ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টায় এ্যাম্বুলেন্স যোগে রাজশাহী যাওয়ার পথে হাসাপতাল গেটেই সধন পাহান মারা যায়।

নিহতের স্ত্রী তারামনি বলেন, তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা অসহায় আদিবাসী বলে যেন আমাদের অবহেলা না করা হয়। সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যেন আমরা পাই।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, মামলা হয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে