বিশ্ববিদ্যালয়ের চুলকাটা শিক্ষিকার অপসারনের দাবীতে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১; সময়: ১২:৪৭ অপরাহ্ণ |
বিশ্ববিদ্যালয়ের চুলকাটা শিক্ষিকার অপসারনের দাবীতে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় দায়ী শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিঃস্কারের দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। রোববার সকালে দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনের মত ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী একাডেমিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি।

সেখান থেকে তারা ঐ শিক্ষিকার বহিঃস্কার চেয়ে নানা শ্লোগান দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাস উত্যপ্ত রয়েছে। এ আন্দোলনে রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবু জাফর জানান, আজ বেলা ১২ টার মধ্যে যদি আমাদের দাবী না মানা হয়, তাহলে আরো কঠোর কর্মসুচি নেয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রবির ঢাকা অফিসে এ বৈঠক শুরু হয়। টানা ৩ ঘন্টা বৈঠক চলার পর কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেষ হয়। বৈঠক শেষে রবিব দায়ীত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ও রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী মোবাইল ফোনে শাহজাদপুরের কান্দাপাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের বিষয়টি অবহিত করেন।

এর পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জরুরী সভা করে আবারও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা রাত ৮টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত অনশন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরুর ঘোষণা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কাচি দিয়ে কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। চুলকেটে দেওয়ার এ অপমান সইতে না পেরে এক ছাত্র ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্নহত্যার চেষ্টা করে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শিক্ষিকা ফারহানার অপসারণ দাবীতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মুখে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়ীক বরখাস্ত করে ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের বদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতিত ছাত্র, প্রত্যক্ষদর্শী,শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারিরা স্বাক্ষ দিলেও শিক্ষিকা ফারহানা স্বাক্ষ না দিয়ে ২ সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন।

তদন্ত কমিটি প্রথমে ৩দিন,পরে আরও ৬ দিন ও সব শেষে ১৪দিন সময় দেন। এ সময়ের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও তিনি স্বাক্ষ দিতে আসেননি। ফলে তাকে আর সময় না দিয়ে তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বিষয়ে জানতে রবিব দায়ীত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী, ছাত্ররা আবারো আন্দোলন শুরু করেছে। তবে ঐ শিক্ষিকার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে