গুরুদাসপুরে খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১; সময়: ৬:২৭ অপরাহ্ণ |
গুরুদাসপুরে খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুরে খেলার মাঠ নষ্ট করে বিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। অথচ আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামের শিশু-কিশোরসহ অন্যরা ওই মাঠে নিয়োমিত খেলা-ধুলা করেন। অনেক পুরনো এই খেলার মাঠটি রক্ষার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে মানববন্ধন করা হয়। এরপর মাঠ রক্ষার জন্য গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গণসাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এই কর্মসূচিতে মাঠের ওপর নির্ভরশীল কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঠটির পশ্চিম অংশের অন্তত ২৫ ফিটজুড়ে ওই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে মাঠটির আয়তন কমে খেলা-ধুলার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। অথচ অপরিকল্পিত ভাবে নির্মীত পিছনের ওয়াসব্লক সরিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হলে মাঠটি রক্ষা পাবে।

স্থানীয় ফুটবল দলের কোচ আব্দুল মতিন, খেলোয়ার সুমন সরদার, শাহবুদ্দিন, দিপু, মজনু, নাহিদ হাসান নয়নসহ অন্তত ১৫ জন জানান, আশপাশের একটি মাত্র মাঠ হওয়ায় বিয়াঘাটের এই স্কুল মাঠটিতে শিয়ানপাড়া, দস্তনানগর, কুমারখালি, সরকারপাড়া, সরদারপাড়া ও বিয়াঘাট বাবলাতলাসহ অন্তত দশগ্রামের মানুষ নিয়োমিত খেলা-ধুলা করেন।

তাছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও শারীরিক ও মানশিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম এই মাঠ। কিন্তু এলাকার শিশু-কিশোরদের কথা চিন্তা না করে মাঠ নষ্ট করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে ভবনের বেইজ ঢালাইয়ের কাজ চলছে।

বিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারি শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, এলাকাবাসীর সাথে বৈঠক করেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটির নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহাদত হোসেন রান্টু বলেন, তিনিও চান মাঠটি রক্ষা পাক। কিন্তু মাঠটি রক্ষা করতে গেলে ওয়াসব্লকটি ভেঙ্গে ফেলতে হবে। আর ওয়াসব্লক ভাঙ্গলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়বে।

উপজেলা প্রকৌশলী মিলন হোসেন জানান, মাঠটি সাধ্যমত রক্ষা করেই ভবন নির্মাণ কাজ চলছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, খেলার মাঠ নষ্ট করে ভবন নির্মাণের ব্যপারে একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকৌলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে