ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র লোডশেডিং এ জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২১; সময়: ৫:১৩ অপরাহ্ণ |
ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র লোডশেডিং এ জনজীবন অতিষ্ঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। লো ভল্টেজ ও বিদ‍্যুৎ সিস্টেম লসের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে বলে দাবী বিদ‍্যুৎ বিভাগের। অপর দিকে কুড়িগ্রাম- লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যমূলক বিদ্যুৎ বিতরণ নীতি ও অব‍্যবস্থাপনাকে এ সমস্যার মূল কারণ বলে দায়ী করছেন ভূক্তভোগীরা।।

ভূরুঙ্গামারীতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ বার লোডশেডিং এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ ফিরে না আসা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বিদ‍্যুৎ ব‍্যবহার কারিদের মাঝে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট যতটা অসহনীয় তার চাইতে বেশি ভয়াবহ অবস্থা গ্রামগুলোতে। গ্রামের গ্রাহকরা দিনের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা পেলেও সন্ধ্যার পর সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পরে। উপজেলা তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক নীতির শিকার। সারা দিনে ৪/৫ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ আমরা পাই না। প্রায় প্রতিদিনই রাত এগারোটা পর থেকে ভোর পর্যন্ত দুই -তিন ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকে না।

কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামেরপল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আলফাজ উদ্দীন বলেন, দিনের বেলা বিদ্যুৎ কিছুটা থাকলেও সন্ধার পর দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না আসায় ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তীব্র গরমে আমার বৃদ্ধ বাবা মা আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ভূরুঙ্গামারী সদরের গ্রাহক হিমন জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আকাশ থেকে এক ফোঁটা বৃষ্টি মাটিতে পড়ার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না আসায় অতিষ্ঠ হয়ে পল্লী বিদ্যুতের হট লাইন নম্বরে ফোন করে বিদ্যুতের কথা বললে নম্বর ব্লক করে রাখেন। এই “অভদ্র” লোক কি জানে এই নম্বর টি জনগনের টাকায় জনগনের জন্যই বরাদ্দ?”

কুড়িগ্রাম- লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডিজিএম কাউসার আহমেদ বলেন, আগে আমরা রংপুর কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেতাম ইদানিং রংপুর কেন্দ্রেটি আউট অব অর্ডার হয়ে পড়ায় আমাদের বিদ্যুৎ নিতে হচ্ছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। দূরুত্ব বেশির কারণে ভোল্টেজ কম পাওয়া যাচ্ছে। প্রচন্ড তাপ দাহের কারণে চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। ফলে চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দু-এক সস্তাহের মধ্যেই এ সমস্যা কেটে যাবে। বিদ্যুৎ এর চাহিদা ও সরবরাহের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, গোটা উপজেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা ১৫ মেগা ওয়াট। আমরা ৯ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ পাই।

  • 988
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে