ভূরুঙ্গামারীতে অনাবৃষ্টিতে আমন আবাদ ব‍্যাহত, দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১; সময়: ৮:০২ অপরাহ্ণ |
ভূরুঙ্গামারীতে অনাবৃষ্টিতে আমন আবাদ ব‍্যাহত, দুশ্চিন্তায় কৃষক

নূর নবী মিয়া, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বর্ষার ভরা মৌসুমে বৃষ্টির তেমন দেখা নেই। তুলনামূলকভাবে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। অন্যান্য বছর এই সময় আমন ধান লাগানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এবছর প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হওয়ায় ও প্রচন্ড খরায় আমন ধান চাষে পিছিয়ে যাওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ‍্য মাত্রার এক চতুর্থাংশও এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে চাষীদের। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

বর্ষায় সেচবিহীন কম খরচে ধান চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কৃষকরা । প্রয়োজন মত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকের লাভের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চিন্তা বাড়ছে তাদের। জমি শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে লাগানো ধান গাছ। এমনকি প্রয়োজন মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ জমিতে এখনও ধানের চারা রোপণই করতে পারেননি কৃষকরা।

এই পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে চলতি আমন মৌসুমে চারা রোপণ ও আউশ ধানক্ষেত রক্ষায় শ্যালো মেশিন কিংবা বিদ্যূৎ চালিত সেচ পাম্প দিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন অনেক কৃষক।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধান রোপণ পিছিয়ে যাচ্ছে।

পাইকের ছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এরশাদ জানান, এভাবেই যদি খরা চলতে থাকলে ইরি ধানের মত করেই জমিতে সেচ দিতে হবে। তাহলে ধান চাষ করে লোকসানের মুখ দেখতে হবে।

তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার নামের আরেক কৃষক জানান, গত ১০/১২ দিন হতে বৃষ্টির দেখা নেই এদিকে আমনের চারা রোপণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। তাই সঠিক বয়সের চারা রোপণের লক্ষে জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন লাগাতে পারেননি অনেক কৃষক। অনাবৃষ্টির কারণে সেচ দিয়ে দ্রুত সময়ে সঠিক বয়সের আমন চারা রোপণ করার জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে