সীমান্তের জেলাগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সীমান্তের জেলাগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শয্যার বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক হাসপাতাল।
এছাড়া, বেশ কয়েকটি জেলার হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থ্যা থাকলেও, আইসিইউ না থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি।
জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে পাশ্ববর্তী জেলা কিংবা ঢাকায়। তবে, সিভিল সার্জন জানালেন-শিগগিরই জেলায় চার বেডের আইসিইউ স্থাপন করা হবে। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, এখানে কোন আইসিইউ ফ্যাসিলিটি নেই। ঢাকার সাথে কথা হয়েছে, চিঠি লিখেছি এবং তারা একমত হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে শিগগিরই করোনা বেড সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। মে মাসে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি মাসের ১৪ তারিখে তা বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।
সংক্রমণের হার বাড়লেও জেলায় নেই আরটিপিসিআর ল্যাব। এছাড়া, আধুনিক সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু থাকলেও নেই আইসিইউ।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ড. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, আমাদের অবশ্যই আইসিইউ এর চাহিদা আছে। আমাদের ডাক্তারদেরকে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। সুতরাং অবশ্যই আমরা এটি পেয়ে যাবো।
করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালেও নেই আরটিপিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ। জরুরি প্রয়োজনে তাই রোগীদের ছুটতে হচ্ছে রংপুরে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মেহেদি ইকবাল বলেন, মূলত সমস্যা জনবলের। কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য দরকার ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ। ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমাদের নাই।
দিনাজপুরে এম, আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোন সরকারি হাসপাতালে নেই আইসিই বেড। ফলে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।