সিরাজগঞ্জে প্রণোদনায় কোটিপতি উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ ও ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১; সময়: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ |
সিরাজগঞ্জে প্রণোদনায় কোটিপতি উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ ও ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সরকারের প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্থ গবাদিপশু ও মুরগী খামারিদের প্রণোদনার তালিকায় নাম এসেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কোটিপতি রিয়াজ উদ্দিন ও সয়দাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনা। তাদের অন্তর্ভূক্তকরণে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) করোনাকালীন প্রণোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ গবাদিপশু পালন ও মুরগী খামারিদের জন্য ১ম ধাপে ২ হাজার ৪৭৮ জনের এবং ২য় ধাপে ৭৯৯ জনের নামের তালিকা আসে। উপজেলার ১৫ জন এলএসপি ও এলএফএদের এই নামের তালিকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নন-খামারি কিছু এজেন্ডাধারীদের কাছে লেনদেনের মাধ্যমে এই তালিকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, করোনাকালীন এলডিডিপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত খামারিদের মাঝে প্রণোদনা হিসাবে তিনটি ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়। এ তালিকা তৈরি করেন ওই প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা।

ডেইরী ও হাস মুরগী খামারিদের জন্য এ-ক্যাটাগরিতে ১০টি গবাদিপশুর ঊর্ধ্বে ২০ হাজার টাকা, বি-ক্যাটাগরিতে ছয় থেকে নয়টি গবাদিপশুর ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা এবং সি-ক্যাটাগরিতে দুই থেকে পাঁচটি গবাদিপশুর জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

খামারি ও নন খামারিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জনপ্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেয় বলে অভিযোগ করেন একাধিক খামারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলএসপি অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে বেতন আটকে রাখা এবং চাকুরিচ্যুত করার হুমকিও দেন তিনি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কিছুটা অনিয়ম করতে পারে। আমি কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি। যদি কেউ অনিয়ম করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা, মো, আক্তারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া যার গরু আছ, সেই এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। এখানে ধনী গরীব শ্রেণিভেদ নেই। তবে এ প্রকল্পে যেই অনিয়ম করুক না কেন তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে