সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিল্পপার্কের কাজে চাঁদা দাবির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন বিসিক শিল্পপার্ক প্রকল্প এলাকায় মালামাল প্রবেশে বাধা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। গত ২৩ মার্চ বিসিক শিল্পপার্কের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার স্মারক নং-বিশিপা/ সিরাজ/ প্রশাঃ ও অফিস আদেশ-০৫/ ২০২০/২১৭১।
একই সঙ্গে বিসিক শিল্পপার্ক সিরাজগঞ্জ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ,বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব-১২ ও মেয়র সিরাজগঞ্জ পৌরসভা বরাবর অনুলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান এনডিসি।
ঘটনাটি এখন সিরাজগঞ্জজুড়ে ব্যাপক আলোচিত।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্ক। যেখানে ৪০০ একর জমির উপর নির্মিত শিল্প পার্কটির মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এখানে দেশি-বিদেশি আধুনিক শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কমপক্ষে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এরই ধারাবাহিকতায় চলামান প্রকল্পে মাটি ভরাট শেষে বাউন্ডারী ওয়াল, রাস্তা, অফিস ভবন, ড্রেন-কালভার্ট ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নে মালামাল প্রবেশে স্থানীয়ভাবে বাধা প্রদান, চাঁদাবাজি, অযাচিত উৎপাত হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কাজ। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ, দলের নেতা ছোবহান আলী ও রফিক গং বাহিনী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকিসহ মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে শিল্পপার্ক সিরাজগঞ্জের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সাজিদুল ইসলাম জানান, বিসিক শিল্পপার্কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি ঢাকা অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমি শুনেছি। এজন্য ঢাকা অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ জানান, প্রকল্পের বাউন্ডারী ওয়াল, রাস্তা, অফিস ভবন, ড্রেন-কালভার্ট কাজের সাব ঠিকাদার আমি নিজেই। এখানে চাঁদা বা হুমকির প্রশ্নই ওঠেনা। প্রকল্পের মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাজেদ এন্ড সন্স আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিতে পারে।
31