প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবী, আটক ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবীর ঘটনায় এ চক্রের সাথে জড়িত ৩ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার ভোর রাতে স্পেশাল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ এর নেতৃত্বে চলা এ অভিযানে র্যাব -১২ সদস্যরা বগুড়ার গাবতলী থানার কদমতলী গ্রামের অপহৃত শ্রীরাম চন্দ্র সাহা (৩২) কে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার দুলগারা খালীর আফছার আলী(৫২), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী গ্রামের মোছা. শারমিন খাতুন(২১) ও তার মা মোছা. মরিয়ম বেগম (৪৮)।
র্যাব ও অপহৃতের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, সোসিও ইকোনমিক ব্যাংকিং এসোসিয়েশন (সেবা) বগুড়া শাখায় কর্মরত মোছাঃ শারমিন খাতুন (২১) বগুড়ায় চাকুরীর সুবাদে এলাকার ব্যবসায়ী শ্রীরাম চন্দ্র সাহার সাথে প্রতারণার অংশ হিসেবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে তার পাওনা টাকা ফেরত ও একান্ত সাক্ষাতের জন্য শ্রীরামকে সিরাজগঞ্জ আসতে বলে।
কথামত সিরাজগঞ্জে আসলে আসামী শারমিন বেলকুচি উপজেলার চরনবিপুরে তার অপহরণ চক্রের সদস্যদের কাছে নিয়ে যান।সেখানে তার হাত পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে অপহরনকারীরা রাম চন্দ্র সাহার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
এরপর বিষয়টি নিয়ে গত ৭ এপ্রিল শ্রীরাম চন্দ্র সাহাকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বগুড়া জেলার গাবতলী থানায় সাধারন ডায়রী করে এবং র্যাব-১২ এর কাছে উদ্ধারের ব্যাপারে সহায়তা চান।
পরে র্যাব-১২ এর অধিনায়কের নিদের্শনায় সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ভোরে র্যাব-১২ এর সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজের নেতৃত্বে প্রযুক্তির ব্যবহার করে উল্লেখিত স্থান থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও চক্রের মুল হোতা সহ ৩ জনকে আটক করে।
পরে আটককৃতদের বেলকুচি থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
21