এনায়েতপুরে সংঘর্ষে ১ জন নিহতের ঘটনায় থানা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আজগড়ার আব্দুল জলিল নামে ১ জন নিহতের ঘটনায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্বজনদের দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এনায়তেপুর থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আজগার আলী মাস্টার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, বুধবার বিকেলে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে বেতিলে যে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য পুরোপুরী দায়ী লতিফ বিশ্বাসের ভাতিজা সন্ত্রাসী নান্নু বিশ্বাস ও ছেলে মিঠু বিশ্বাস দায়ী। যে আব্দুল জলিল মারা গেছে সে আমাদের পক্ষের দলীয় কর্মী।
তিনি বলেন, সম্মেলনে ভোট গ্রহন শেষে গননার সময় লতিফ বিশ্বাসের সমর্থক সভাপতি প্রার্থী সিরাজুল আলম মাস্টার ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি পরাজিত হচ্ছেন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে লতিফ বিশ্বাসের ভাতিজা নান্নু বিশ্বাস ও ছেলে মিঠু বিশ্বাসের নেতৃত্বে লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমাদের সমর্থক নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তখন কয়েক জন আহত ও আজুগড়ার আমাদের সমর্থক কর্মী আব্দুল জলিলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা আমরা কখনো কল্পনা করিনি। আমরা বিষ্মিত। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। এ সময় আজগর আলী মাস্টার বলেন, লতিফ বিশ্বাস আমাকে ফোন করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন কয়েক দিন আগে। এ ব্যাপারে আমি জেলা আওয়ামীলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এসময় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রশিদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চু, শাহজাহান আলী মিয়া, হাতেম আলী মাস্টার, ডাঃ মজিবর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল হাসান সিরাজ, দলের নেতা এবিএম শামিম হক, আমিনুল ইসলাম আলামিন, মেহেদী হাসান তুষার সহ স্থানীয় অন্যন্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আজগার আলী মাস্টারের আনিত অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন দাবী করে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেছেন, আমি এবং এমপি মমিন মন্ডল সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন শুরু হতে শেষ পর্যন্ত এক সাথেই ছিলাম। বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে আজুগড়ার সন্ত্রাসী বদিউজ্জামান বদি ফকিরের লোকজন। এখানে আমার বা দলের কেউ জড়িত না। পরিকল্পিত ভাবে আমাদের দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেই আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের জড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।
67