শিবগঞ্জে রাস্তার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২১; সময়: ৪:০৩ অপরাহ্ণ |
শিবগঞ্জে রাস্তার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের মনাকষা ঈদগাহ মোড় হতে সাহাপাড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নির্মাণে রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কয়েক দফা স্থানীয়দের সাথে শ্রমিকদের বাকবিতন্ডা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- রানীনগর ঘুনটোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রফিকের বাড়ি হতে গোপালপুর ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে প্রাচীরগুলো নিচু স্থানে নিচুই রয়েছে।

সীমানা প্রাচীর দেয়ার পর পানিতে ভেজানো হচ্ছে না। এমনি অনেক স্থানে সীমানা প্রাচীরের প্রয়োজন হলেও সেসব স্থানগুলো ফাঁকা রাখা হচ্ছে। এতে নিম্নমানের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অর্থাৎ যে বালু সাধারণত ভরাট হিসাবে ব্যবহার করা হয় সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে অনেক বড় গর্ত থাকলেও সেখানে কোন প্রাচীর না দিয়ে ফাঁকাই রাখা হচ্ছে। সরজমিনে রানীনগর ঘুনটোলা ও হঠাৎপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন, হাকিম উদ্দিন, জেম আলি, সোহবুল হক, আনারুল হক, আসাদুল ইসলাম, এজাবুল হক, মাইনুল ইসলাম, সুজন আলি, লতিফুর রহমান, দুলাল উদ্দিন, জমিরুদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহবুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা মিন্টু আলি, নাইমুল হক, আব্দুল খালেক, কাইয়ুম আলিসহ প্রায় শতাধিক বাসিন্দা জানায়, শত অনুরোধ করেও তারা ঠিকমত কাজ করছে না। বালি ও সিমেন্টের ক্ষেত্রে ৫/১ ভাগ দেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রায় ৭/১ ভাগ দিয়ে কাজ করছে।

নিম্নমানের বালু ব্যবহার না করার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করলেও তারা শুনছে না। প্রাচীর দেয়ার পর পানি দিয়ে ভেজানোর নিয়ম থাকলেও না ভেজানোর কারণে শুকিয়ে মসলাগুলো ভুরভরা ধরে যাচ্ছে। আমরা কাজ বন্ধ করে দেয়ার কিছু সময় নিয়ম মেনে চললেও কয়েকদিন পর আবারও অনিয়মের মাধ্যমে কাজ করছে। তারা আরও জানায়, রাস্তার পাশে বড় বড় গর্ত আছে। সেখানে স্থানে সীমানা প্রাচীর না দিয়ে মাঝে মাঝে ফাঁকা রাখা হচ্ছে। সঠিক নিয়মে রাস্তা মেরামত না করলে অল্পদিনের মধ্যে পূর্বের মত রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাদের দাবি- সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির মাধ্যমে রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ নিয়ম অনুসারে করা হোক এবং গর্তের পাশে ফাঁকা স্থানগুলোতে প্রাচীর নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মঈন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারের দেয়া নিয়ম অনুসারে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ হচ্ছে। কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। নিয়ম বা সিডিউল অনুযায়ী মাঝে মাঝে ফাঁকা থাকবে। বালি ও সিমেন্টের ভাগ ঠিক আছে। নিয়ম ভঙ্গ করায় স্থানীয় জনগণ কাজে বাধা দিয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রস্থ বেশি করলে বললেই তো আর করা যায় না বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, রাস্তার পাশে সব স্থানে সীমানা প্রাচীর দেয়া সম্ভব নয়। তবে প্রয়োজনীয় স্থানে প্রাচীর দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক ঠিকাদারকে কাজ করতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিম্নমানের বালি ও সিমেন্টের অনুপাত পরীক্ষা করে দেখা হবে। অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

  • 640
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে