এ কেমন শত্রুতা!
নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : নওগাঁর মান্দায় আগাছানাশক প্রয়োগ করে সাত মণ জিরাশাইল ধানের বীজতলা বিনষ্ট করে দেয়া হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের তানইল গ্রামের শিয়ালকুড়ি বিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই গ্রামের ৬ জন কৃষকের চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক জিল্লুর রহমান ও আব্দুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে রোপণের জন্য তারা ৬ জন কৃষক শিয়ালকুড়ি বিলে বীজতলা তৈরি করেন। গত দুই সপ্তাহ আগে ওই বীজতলায় জিরাশাইল ধানের সাত মণ বীজ বপণ করা হয়। কয়েকদিন পর ধান থেকে চারা গজানো শুরু হয়। এরপর থেকে গজানো চারা শুকিয়ে মারা যেতে থাকে। একই সঙ্গে বীজতলার মাটি সবুজ বিবর্ণ হয়ে গেছে। বিষক্রিয়ায় মারা গেছে বীজতলায় থাকা তাজা শামুক। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এ ক্ষতি করেছে বলেও দাবি করেন তারা।
কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, সাত মণ ধানের বীজতলা দিয়ে চলতি মৌসুমে তারা ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। রোপণ কাজ শেষে অবশিষ্ট চারা বিক্রি করে থাকেন। আগাছানাশক প্রয়োগ করে তাদের চরম ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এতে করে তাদের বোরো ধান রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ অপর কৃষক আজিজার রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে দোকানগুলোতে বীজধান বেচাকেনা প্রায় শেষ। এ অবস্থায় বাজারে ভাল মানের বীজধান পাওয়া দুষ্কর। বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করা সম্ভব হলেও তা বীজতলায় ফেলতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। এছাড়া বিরুপ আবহাওয়ায় চারা তৈরি করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে বোরো ধান রোপণ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কা করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, কি কারণে বীজতলার গজানো চারা মারা গেছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে এ মুহুর্তে বলা মুশকিল। বীজতলা পরিদর্শন করলে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।
12