খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২০; সময়: ৩:৪২ অপরাহ্ণ |
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : উপমহাদেশের নাম করা অলাভজনক চিকিৎসা ও শিক্ষা সেবা প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহামারী করোনা ঠেকাতে বিস্তার শুরু থেকেই শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করে চলছে যাবতীয় কার্যক্রম। ‘নো মাস্ক নো চিকিৎসা-নিরিক্ষা’ এই পন্থা অবলম্বন করে গত ২৪ মার্চ থেকে করোনা সচেতনতায় সরকারী ভাবে নেয়া গৃহিত পদক্ষেপ অনুসারে হাসপাতালটিতে সাড়া দেশ থেকে আগত রোগী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সকল দর্শনার্থীদের এই সেবার আওতায় আনা হয়েছে।

এছাড়া করোনা কালে সাড়াদেশের বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো যখন রোগটির সংক্রামনের ভয়ে বন্ধ ছিল, তখন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের নির্দেশ ও তাদের উপস্থিতিতে অকুতভয় চিকিৎসক কর্মচারীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা গ্রহন করে জটিল-কঠিন রোগীর জীবন বাঁচাতে নিরলস ভুমিকা রেখে গেছেন এবং অব্যাহত রাখছেন। এতে মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বল্প খরচে সাড়া দেশের রোগীদের কাছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি এখন অন্যতম আস্থার প্রতিষ্ঠান।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, মানব হিতৈষী কর্মবীর ডাঃ এম এম আমজাদ হোসেনের উদ্যোগে মানব কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা প্রতিষ্ঠান খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। স্বাশ্রয়ী খরচে জটিল সহ সব ধরণের রোগের চিকিৎসা সহায়তা দেবার কারনে প্রতিদিন অন্তত দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় হাজারের মত মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছে।

এদের সাথে আরো কয়েক হাজার দর্শনাথী প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটিতে ভীড় করে থাকে। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাস আতংকের কারনে সরকার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরের সব প্রবেশদ্বারে রোগীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনে জীবাণু মুক্তের পর ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রবেশে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে করোনা রোগ বিস্তারের শুরু থেকেই।

এদিকে প্রায় দেড়শ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত ৬৮০ বেডের এ হাসপাতালটিতে করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নির্ধারিত ২০টি আইসোলেশন বেডে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা। একই ভাবে হাসপাতালের ক্যান্সার সেন্টারে আসা রোগীদেরও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পাবনা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল হালিম, সিলেটের রাকিবুল হাসান, টাঙ্গাইলের ইব্রাহিম হোসেন জানান, করোনার বিস্তার রোধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপ আসলেই প্রশংসনীয়। মাস্ক মুখে না থাকলে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়না। আবার হাসপাতালের সকল বিভাগের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনে জীবাণু মুক্তের পরই কেবল ভিতরে যেতে দেয়। এ নিয়ম মানা হয় বলেই প্রতিদিন সাড়া দেশের হাজার-হাজার রোগীরা অবস্থান করলেও করোনার প্রকোপ মুক্ত থাকে।

এ ব্যাপারে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে সচেতনতায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের হাসপাতালে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। মহামারীর চলাকালে দুঃসময়ে যখন ভয়ে সাড়া দেশের ক্লিনিক বন্ধ ছিল, তখন আমরা নানা রোগে আক্রান্ত মানুষের কথা ভেবে হাসপাতাল ২৪ ঘন্টা চালু রেখেছি। আশা করছি সরকারের উদ্যোগে সকলের সচেতনতা ও সহযোগীতায় করোনা ভাইরাস আমরা মুক্ত হবো।

  • 148
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে