মেয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে মা বললেন, ‘আমার ওপর জিনের আছর ভর করেছিল’
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে ১৭দিনের নবজাতক চুরি ও তিনদিন পর পুকুরে মরদেহ পাওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন শিশুটির মা শান্তা আক্তার। মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পরে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
শনিবার সকালে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বলেন, শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শান্তা জানান, মেয়েকে তিনি নিজেই বিছানা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন। ‘জিনের আছড়’ ভর করার কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশকে জানান।
থানা পুলিশ পরে (শুক্রবার রাতে) শান্তাকে বাগেরহাট কোর্টে পাঠান। কোর্টেও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শান্তা। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে থানার ওসি জানিয়েছেন।
এরআগে, ১৫ নভেম্বর রাতে গাবতলা গ্রামের সুজন খানের ১৭দিনের মেয়ে সানজিদা নিখোঁজ হয়। ধারণা করা হয়েছিল, শিশুটিকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাতে থাকে।
সোমবার রাতে শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিন পর তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে সোহানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খানও জেলহাজতে আছেন।
12