পরকীয়া প্রেমের করুণ পরিণতি, স্বামীকে তালাক দিলেও পেল না প্রেমিককে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২০; সময়: ৭:১৬ অপরাহ্ণ |
পরকীয়া প্রেমের করুণ পরিণতি, স্বামীকে তালাক দিলেও পেল না প্রেমিককে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : স্বামী কৃষক সহজ সরল। ভালই চলছিল সংসার। এক কন্যা সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই কাটছিল রিক্তা খাতুনের (২০)। বাঙালী সমাজের এক আদর্শ পরিবার। কিন্তুু ৪ বছর ৭ মাস যেতে না যেতেই সংসারে নেমে আসে এক অমানিশার অন্ধকার।

তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি সেই সোনার সংসার তাসের ঘর হয়ে যায়। স্বামী স্ত্রীর বাচন ভঙ্গিতে ব্যাপক পরিবর্তন বুঝতে পারে। স্বামী বুঝতে পারে, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে নানা ঝামেলার কথা শোনায়। এভাবেই কেটে যায় ৪ বছর ৭ মাস। স্বামী জানতে পারে তার স্ত্রী আর আগের মতো নেই। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে।

জানতে পারে তার স্ত্রীর সব কর্মকান্ড। তবে এতোদিনে সব শেষ। ঘটনাটি নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের আঃ জব্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রিক্তা খাতুনের। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ রিক্তা খাতুন (২০)। ১ সন্তানের জননী। সাইফুল ও রিক্তার কোল জুড়ে রয়েছে ৩ বছরের কন্যা সন্তান।

রিক্তা খাতুন একই গ্রামের ইয়াকুব আলী ছেলে নুরুজ্জামানের পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। প্রেমের টানে নতুন করে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে প্রেমিক নুরুজ্জামানের পরামর্শে গত ২০ অক্টোবর রিক্তা খাতুন স্বামী-সন্তান ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী সাইফুল ইসলাম ২২ অক্টোবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। তার ২৩দিন পর ১২ নভেম্বর নুরুজ্জামানও ঢাকায় যায়। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর নুরুজ্জামান রিক্তাকে তার নিজ বাড়ীতে (নুরুজ্জামানের) উঠতে বলে। রিক্তা খাতুন গত ২০ নভেম্বর নুরুজ্জামানের বাড়ীতে উঠতে চাইলে নুরুজ্জামানের বাবা ইয়াকুব আলী রিক্তা খাতুনকে বাড়ীতে উঠতে না দিলে সে বাড়ীর সামনে অনশনসহ অবস্থান শুরু করে।

রিক্তা খাতুন নুরুজ্জামানের বাড়ীতে উঠতে না পারায় নুরুজ্জামানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পায়। এখন পর্যন্ত নুরুজ্জামানের কোন খোজ খবর নাই। রিক্তা খাতুনের আর বুঝতে বাঁকী থাকে না এতদিন সে মরিচিকার পেছনে ছুটেছে। ভন্ড প্রেমিকের প্রেমে সে ছিল মত্ত। কিন্তুু ততদিনে সব শেষ তার।

প্রেমের টানে রঙ্গীন স্বপ্ন পূরণের জন্য পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। প্রেমিককে গোপনে সবকিছু দিয়ে দেয়। নতুন সংসার বাধার স্বপ্নে গত ১৫ মে ২০২০ কোর্টে রিক্তা খাতুন স্বামী সাইফুল ইসলামকে তালাক দেয়। কিন্তুু স্বামীকে তালাক দিলেও প্রেমিককে আর পায় না রিক্তা খাতুন। রিক্তা খাতুন এখন সব হারিয়ে পথে বসেছে। সরেজমিন তদন্তে বেরিয়ে আসে পরকীয়া এই প্রেমের কাহিনী।

পাঠক এ লেখাটি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুর ইসলামের বিখ্যাত ‘পূজারিনী’ কবিতার কয়েকটি পংক্তি দিয়েই শেষ করতে চাই। নারী নাহি হতে চায় শুধু একা কারো, এরা দেবী, এরা লোভী, যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো! ইহাদের অতিলোভী মন একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়, যাচে বহু জন।

 

  • 75
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে