হেলিকপ্টারে বিয়ে করে ভাইরাল রূপপুরের প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমানবি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তড়িৎ প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা সম্প্রতি হেলিকপ্টারে বিয়ে করেছেন। নাটোরের বাগাতিপাড়ার স্কুল শিক্ষকের ছেলে প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা গত শনিবার বিয়ে করেন। বিয়ের জন্য তিনি এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করেন।

তার হেলিকপ্টারে বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিশেষ করে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারের সামনে তোলা ছবি ও এ নিয়ে অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রচুর মন্তব্য এসেছে। বিশেষ করে রূপপুরের বালিশকান্ড তুলে ধরে অনেকেই মন্তব্য করেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলার সোনাপুর পাবনাপাড়া গ্রাম থেকে গিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রকৌশলী বাদশা বিয়ে করেন। বর প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ পাবনাপাড়া গ্রামের শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলামের ছেলে এবং কনে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট নূহুন নবীর মেয়ে প্রকৌশলী উর্মী আক্তার এনি। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়েকে কেন্দ্র করে দুইটি এলাকার মানুষের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর ও কনে দুজনেই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভারসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এ পড়ালেখা করতেন। হারুন অর রশীদ বাদশা বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমানবিকে তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

বরের বাবা শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, ছোটবেলায় আকাশে বিমান উড়তে দেখে তার ছেলের শখ হয়েছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। সেই শখ পূরণ করতেই এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে হেলিকপ্টারে বিয়ের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ১২টায় তার দুই জামাতা ও এক নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হন তার ছেলে হারুন অর রশীদ। আর বরযাত্রীদের কনের বাড়িতে মাইক্রোবাসে পাঠানো হয়। রোববার বরের বাড়িতে বউ ভাতের আয়োজন রয়েছে।

বরযাত্রী দয়ারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর ইসলাম মিঠু বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা তার এলাকায় এটিই প্রথম। তার জানামতে এর আগে বাগাতিপাড়া উপজেলায় এমন যানে গিয়ে বিয়ের ঘটনা ঘটেনি।

বর প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা বলেন, আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।