নাটোরে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক , নাটোর : নাটোরে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশের এএসআই মাহবুবুর রহমানের (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রী বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত র‌্যাব-৫ (রাজশাহী) কে অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এএসআই মাহবুবুর রহমান বর্তমানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানার অধিন কাজলা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী রাজশাহী কোর্ট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে পড়ালেখা করে। সেখানে পড়ালেখা করাকালে আরএমপির কনস্টেবল মাহবুবুর রহমানের সাথে পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা হয়। ঘনিষ্ঠতার সুযোগে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে পবা ও নওদাপাড়া এলাকায় বাসাভাড়া করে একত্রে বসবাস করেন।

এক পর্যায়ে ছাত্রীটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে গর্ভপাত করানো হয়। ছাত্রীটি বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করলে মাহবুবুর তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। গত ৭ নভেম্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে ছাত্রী তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। ওইদিন রাতে মাহবুবুর সেখানে গিয়ে পরের দিন বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ওই রাতে বাদিনীকে ধর্ষণ করে তিনি রাজশাহীর কর্মস্থলে চলে যান।

প্রতারনার শিকার ছাত্রীটি ১০ নভেম্বর রাজশাহীর ভাড়া বাসায় আসলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে পুনরায় শারীরিক নির্যাতন করেন এবং বিষয়টি গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। এ অবস্থায় নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটি বৃহষ্পতিবার নাটোরে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ট্রাইবুন্যাল অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাকিলের জন্য র‌্যাব-৫ (রাজশাহী) এর অধিনায়ককে দায়িত্ব দেন।

এদিকে, অভিযুক্ত এএসআই মাহবুবুর রহমান বৃহষ্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, মামলার বাদি তার স্ত্রী। দাবির সমর্থনে কোনো কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখনও করা হয়নি। কাগজপত্র করার ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে। খুব শিঘ্রীই তিনি তাকে স্ত্রী মর্যাদা দেবেন বলে জানান তিনি।