রুপপুরে এলো রাশিয়া থেকে দেশের প্রথম পরমাণু চুল্লিপাত্র

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২০; সময়: ৭:৪০ অপরাহ্ণ |
রুপপুরে এলো রাশিয়া থেকে দেশের প্রথম পরমাণু চুল্লিপাত্র

রাজিউর রহমান রুমী, পাবনা : পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসে পৌছেছে প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্র পরমাণু চুল্লিপাত্র (রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল) এবং স্টিম জেনারেটর।

রাশিয়ার ভোলগা নদী থেকে প্রকল্প এলাকার পদ্মা নদী বন্দরে এসে পৌঁছেছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে প্রকল্প এলাকার নবনির্মিত জেটিতে নোঙ্গর করেছে রাশিয়ায় নির্মিত রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল এবং জেনারেটর বহনকারী বিশেষায়িত বার্জ।

নৌবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় এটি মংলা বন্দর থেকে রূপপুরে আনা হয়। এর আগে আগস্টের শেষ সপ্তাহে রাশিয়ার পেট্রোজাবাদ বন্দর থেকে ভোলগা নদী দিয়ে যন্ত্র দুটি নিয়ে বিশেষ জাহাজ বাংলাদেশে রওনা দেয়। সমুদ্র পথে ১৪ হাজার কিলোমিটার আন্তর্জাতিক নৌপথ পাড়ি দিয়ে ২০ অক্টোবর এটি মংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষ মনে করেন রাশিয়া থেকে যন্ত্রগুলো নিয়ে রূপপুরে পৌঁছানোয় প্রকল্পটি নিয়ে জনগণ এর মধ্যে আরও আস্থা বারবে। এটি রাশিয়ার বিখ্যাত নদী ভোলগা থেকে বাংলার বিখ্যাত নদী পদ্মায় আসতে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে যানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শনে যাবেন এবং যন্ত্রপাতিগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ২০ সদস্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শন ও যন্ত্রপাতিগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন।

রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতিগুলো তৈরি হচ্ছে সে দেশটির কয়েকটি শহরে।

রাশিয়ার ঋণ ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক প্রকল্প। জনবল প্রশিক্ষণসহ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। যার নব্বই ভাগ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া।
চুক্তি অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২২ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষ করবে রাশিয়ান ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। যথাক্রমে পরের বছর থেকেই জ্বালানি ইউরেনিয়াম লোড করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে।

ইতোমধ্যে রূপপুরে প্রথম ইউনিটের ভৌত কাঠামোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর জানান, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে রিয়াক্টর প্রেসার ভ্যাসেল ওই ভৌত কাঠামোর ভেতর স্থাপন করা হবে। এরপর কাঠামোর উপরিভাগে ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মান মেনে নির্ধারিত সময়সূচি ঠিক রেখেই কাজ চলছে রূপপুরে। করোনা মহামারিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুরোদমে কাজ চলছে।

  • 48
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে