স্কুলের এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন বিক্রির প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২০; সময়: ৬:০৪ অপরাহ্ণ |
স্কুলের এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন বিক্রির প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাজী পিয়ার হোসেন পেয়ারার ছেলে রবিউল করিম কর্তৃক অবৈধ ভাবে এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন বিক্রির প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেছে। দ্বিতীয় দিনের মত স্কুলটিতে কয়েক ঘন্টা অবস্থান নিয়ে সহস্রাদিক ছাত্র-ছাত্রীরা এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন বাবদ আদায়কৃত দেড়/২শ টাকা ফেরতের দাবীতে এই সমাবেশ করে। তখন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ভিক্ষুব্দ ছাত্র-ছাত্রীরা।

স্কুলের আন্দোলন কারী ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, করোনা কালে ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্রামনের হাত থেকে রক্ষায় সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে আগামী বাৎসরিক পরীক্ষা বিকল্প পদ্বতিতে নেবার জন্য স্কুল থেকে প্রশ্ন পত্র দিয়ে বাড়িতেই তা লিখে স্কুলে জমাদানের আহবান জানানো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেলকুচির দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনীর প্রায় ১৮শ ছাত্র-ছাত্রীকে এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন বিতরন করা হয়। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মন্ডলের যোগসাজোশে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাজী পিয়ারার ছেলে রবিউল করিমের কিন্ডার হলি চাইল্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল থেকে এ প্রশ্ন দিয়ে দেড় থেকে দুশ টাকা করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হয়।

তবে পাশ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামমাত্র ২ টাকায় প্রশ্ন দেয়ায় দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তখনও বিক্ষোভ করতে থাকে তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সে সময় প্রধান শিক্ষক ও অর্থ আদায়কারী রবিউল করিম টাকা ফেরতের ঘোষনা দেন।
রোববার সকালে ঘোষনা মোতাবেক হাতিয়ে নেয়া অর্থ ফেরৎ না দিলে উপস্থিত সহস্রাদিক ছাত্র-ছাত্রী বিক্ষোভে ভেটে পড়ে। এসময় শিক্ষক শাহ আলম ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চড়াও হলে তার মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করা হয়।

এরপর পুলিশ ও উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে টাকা ফেরৎ পায়নি শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে সভাপতির ছেলে রবিউল করিম জানান, আমি প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই প্রশ্ন বাবদ ৬০/৬৫ টাকা করে নিয়েছি। তবে এই টাকা ফেরৎ দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপষ কুমার মন্ডল জানান, রবিউলকে আমি দায়িত্ব দেইনি প্রশ্ন বিক্রির জন্য। সে মিথ্যা বলেছে। তবে যে টাকা নেয়া হয়েছে আমরা তা ফিরিয়ে দেবার ঘোষনা দিয়েছি।
এদিকে এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন বিক্রির বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিউল্লাহ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তা ক্ষতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • 288
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে