নিয়ামতপুরে পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০; সময়: ৮:১১ অপরাহ্ণ |
নিয়ামতপুরে পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নওগাঁর নিয়ামতপুর পশুর হাটগুলোতে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারগণের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
উপজেলার হাটগুলোতে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিকট থেকেই অস্বাভাবিক হারে টোল আদায় করা হলেও তা দেখার কেউ নেই।

সোমবার উপজেলার ছাতড়া হাট ও বুধবার বটতলী হাট এ দুটি গবাদিপশুর হাটে প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য সরকার নির্ধারিত টোলের পরিবর্তে ৫ শত টাকা এবং পশু বিক্রেতার নিকট থেকে কোনো অর্থ নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও প্রতি পশু বিক্রেতার নিকট থেকে ২০ টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া শত করা ১০ টাকা হারে প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করতে দেখা গেছে। গরু বা মহিষ যত টাকা দামেই কেনা হোক না কেন প্রতিটির পশুর জন্য ৫০০ শ ২০ টাকা টোল আদায় করা হলেও মাত্র ১০/১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগলের জন্য জোর-জুলুম করে ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা পর্যন্ত টোল নেওয়া হচ্ছে।

এক লাখ টাকা গরুর টোল ৫ শ টাকা হলেও ১২ হাজার টাকা মূল্যে একটি খাসির টোল ১২ শ টাকা বিষয়টি সাধারণ জনগণকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।

সরকারিভাবে নির্ধারিত টোলের কয়েকগুণ বেশি টোল এই হাটগুলেতে আদায় করা হলেও প্রশাসনিকভাবে এই টোল বন্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিটি পশুর হাটের প্রবেশপথে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গবাদিপশুর টোল আদায়ের তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও অদ্যবধি তা টাঙানো হয়নি। প্রতিহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়কে কেন্দ্র করে গবাদিপশুর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে ইজারাদারের লোকজনের প্রায় বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে; তবে কে শোনে কার কথা।

গত সোমবার নিয়ামতপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় গবাদিপশুর হাট ছাতড়া হাটে পশু ক্রেতা উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের বিপুল, হেমন্তসহ একাধিক ভুক্তভোগী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এই দুটি হাটে ইজারাদারগণ দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন অবগত থাকা সত্ত্বেও প্রতিহত না করে রহস্যনক কারণে নীরবতা পালন করে চলেছে।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীরা যাতে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ কাগজে-কলমে প্রমাণ করতে না পারে সে জন্য ক্রেতার নিকট দেওয়া পশুর ছাড়পত্র রশিদে পশুর দাম উল্লেখ থাকলেও টোলের টাকার পরিমাণ লেখা হয় না।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা এ বিষয়ে জানান, আমি তো ইতি মধ্যে কয়েকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেছি। তারা তো স্বীকার করে না। ইজারদার ও হাট কমিটিকেও আমি অনেকবার বলেছি। আমি ইউএনও তো একার পক্ষে সম্ভব না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া এ পর্যন্ত ভুক্তভোগী কোনো ক্রেতা অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে আমার নিকট অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে ছাতড়া পশুর হাটের ইজারদার আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে কোন কথা বলতে রাজী হন নাই। তিনি সরাসরি দেখা করে কথা বলবেন বলে জানান।

 

  • 12
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে